ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

‘রিয়ালের সবাই চাইতো আমি যেন চলে যাই’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২১:৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

এসি মিলানের হয়ে কী জেতেননি! ইতালিয়ান লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ সবই জেতা হয়ে গিয়েছিল তার। ২০০৩-০৯ সময়টা কম না। এই সময়ের ভেতর হয়ে উঠেছিলেন এসি মিলানের ঘরের মানুষ। মেসি-রোনালদো যুগের আগে সর্বশেষ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর জেতা ফুটবলারও তিনি সেটাও এসি মিলানের হয়ে। কিন্তু ২০০৯ সালের জুনে জীবনের সব থেকে কঠিন সিদ্ধান্তটিই নিয়ে ফেললেন। এসি মিলানের মায়া ত্যাগ করে যোগ দিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সেরা দল রিয়াল মাদ্রিদে। আর সেখানে যোগ দিয়েই যেন মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে হলো তাকে। আর সেজন্য রিয়ালের প্রতি নিজের ক্ষোভটাও ঝাড়লেন।

সম্প্রতি ইউওএল স্পোর্টস পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাকা বলেন, ‘২০০৯ সালে আমি রিয়াল মাদ্রিদের প্রস্তাব গ্রহণ করি কিন্তু তারপর আমি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাই কারণ আমি মিলানের মতো পারফরম্যান্স এখানে দিতে পারছিলাম না। আমি নিজের কাছে একদমই হেরে যাই। ইতালিতে সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসতো কিন্তু স্পেনের সবাই চাইতো আমি যেন চলে যাই।’


ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম সেই সেরা ফুটবলারকে ৬৭ মিলিয়ন ইউরোতে ৫ বছরের জন্য দলে টেনে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তৎকালীন রিয়াল কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি। পরের মৌসুমেই পেলেগ্রিনির হাত বদলে রিয়ালের কোচ হয়ে আসেন হোসে মরিনহো। আর তখন থেকেই যেন দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েন কাকা। শত চেষ্টা করেও কোচের আস্থা অর্জন করতে পারেননি কাকা। রিয়ালের হয়ে চার মৌসুমে খেলেছেন মাত্র ১২০টি ম্যাচ যেখানে গোল করেছেন মাত্র ২৯টি।

সাবেক কোচের সমালোচনা করে কাকা বলেন, ‘মরিনহো আমার জন্য খুব কঠিন একজন কোচ ছিলেন। আমি যখনই ভাবতাম তিনি আমাকে সুযোগ দেবেন তখনই সেটা হতো না। আমি আমার নিজেকে প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ পাইনি। আমি অনুশীলনে ঘাম ঝরাতাম, পরিশ্রম করতাম, প্রার্থনা করতাম কিন্তু কোচের আমার ওপর আস্থা ছিল না বিধায় তার সাথে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করলাম। আমি রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এসি মিলানে যেতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলাম।’

সাক্ষাৎকারে উঠে আসে পেশাদার ফুটবলে কাকার সবথেকে কষ্টের হারের কথাও। লিভারপুলের বিপক্ষে ইস্তাম্বুলের ফাইনাল হেরে যাওয়াটা এখনো পীড়া দেয় কাকাকে। মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল খেয়েছিল এসি মিলান। অথচ তারাই ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল।

সেই দিনকার দুঃসহ স্মৃতিকে মনে করে কাকা বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ইস্তাম্বুলের ফাইনাল হারাটাই আমার জীবনের সবথেকে কষ্টের পরাজয়। সেই পরাজয় থেকে আমি অনেক শিক্ষা নিয়েছি। রোজেনারিদের ইতিহাসে ওই দলটা ছিল অন্যতম সেরা দল যাদের রক্ষণভাগ ছিল বিশ্বসেরা সেই দলটাই ৬ মিনিটের ভেতর মাত্র ৩ গোল খেয়েছিল।’

ফুটবলকে সম্প্রতি বিদায় জানানো কাকা জানিয়েছে ভবিষ্যতে ব্রাজিলের ক্লাব সাও পাওলোতে কাজ করবেন তিনি। তবে কোচ এবং ধারাভাষ্যকার হওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই বলেও জানান ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ জেতা এই ফুটবলার।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি