ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

‘রোহিঙ্গা গণহত্যায় ভারত চীন রাশিয়াও দায়ী’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫৪, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপরে যে ‍নির্যাতন ও গণহত্যা চালানো হয়েছে তার দায় শুধু মিয়ানমার সরকারের নয়; বরং চীন, রাশিয়া, ভারতেরও এ দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস।

মানবাধিকার এই সংস্থাটি বলছে তিন দেশের দেওয়া অন্ত্র দিয়ে রোহিঙ্গাদের উপরে নির্যাতন করা হয়েছে। আজ বুধাবার রাজধানীর সোনারগাঁওয় হোটেলে  সংস্থাটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  এ কথা জানানো হয়।  তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং মিশনে চারদিনের সফরে ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছেন।

সংবাদ সস্মলনে  বক্তরা বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন, নৃশংস নিধনযজ্ঞ চলেছে তা নজিরবিহীন। ভারত, চীন ও রাশিয়া চাইলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাদের উচিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে চাপ সৃষ্টি করা। 

বক্তরা বলেন, রোহিঙ্গা-সমস্যাটি এক কথায় বহুমাত্রিক। শরণার্থী সমস্যার পাশাপাশি মানবপাচারসহ একারণে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যাটি এখন শুধু মিয়ানমারের নয়, এটি গোটা আসিয়ান অঞ্চলের সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তারা আরও বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও অব্যাহত অত্যাচার নির্যাতনের মুখে অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এমন নিদারুণ মানবিক সংকটকালে বাংলাদেশ নিজের অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। 

প্রতিনিধি দল জানান, রোহিঙ্গারা নিজেরাও তাদের দেশে ফিরতে চায়।কিন্তু এখনও মিয়ানমারে খুন হত্যা হচ্ছে।মিয়ারমার সরকারের উচিত রোহিঙ্গাদের সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাবসনের ব্যবস্থা করা।এসময় মালয়েশিয়ার সংসদ সদস্য চার্লিস সান্তিয়াগো বলেন, প্রতিবেশী দেশে এমন নির্মম কাজ হতে পারে তা কেউ ভাবতে পারে না। বর্মী সেনারা ১২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এটি একটি অসুস্থতার লক্ষণ। বাংলাদেশ লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপেই এটা সম্ভব হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আসিয়ান দেশগুলোকে এখন একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

 আরও জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের প্রত্যাবসন ব্যবস্থা করা এবং হত্যার দায়ে মিনায়মান সেনাবাহিনীর বিচারের আওয়াত নিয়ে আসা।  প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। শুধু কিছু ফেসবুকিং সুবিধা ও রেডিও আছে, যা পর্যাপ্ত নয়। এ প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া হবে

 

টিআর/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি