ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ প্রস্তুত নয়: মিয়ানমার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৫, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:৪৫, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত আছে বলে দাবি করে মিয়ানমার। পাশাপাশি বাংলাদেশের কারণেই প্রত্যাবাসন দেরি হচ্ছে বলে সমালোচনাও করে দেশটি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এখনও প্রস্তুত নয় বলেও মন্তব্য করেন নেপিদো।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশের পর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসে বাংলাদেশ।

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর আক্রমণ শুরু হলে বাংলাদেশে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা প্রবেশ করে। তারও আগে ২০১৬ এর অক্টোবরে একই ধরনের ঘটনায় আরও এক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যেকার এক চুক্তির মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি হয় মিয়ানমার। এরজন্য সীমান্তে নিজেদের অংশে দুইটি ক্যাম্পও স্থাপন করে দেশটি।

দেশটির আভ্যন্তরীণ সহায়তা মন্ত্রী কিয়াও টিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের ফিরিতে নিতে এ মুহূর্তে পুরোপুরি প্রস্তুত। তাদের স্বাগত জানাতে আমরা সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি। যেমনটা আমরা চুক্তিতে বলেছি”।

“তবে খবরে আমরা দেখেছি যে, বাংলাদেশ এখনও তৈরি নয়। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের (বাংলাদেশ) পক্ষ থেকে কিছু জানতে পারিনি আমরা”।

এদিকে বাংলাদেশে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, “আরও কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হবে। শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে চাচ্ছেন না। আর সে কারণে তারা ফেরত যেতে নিবন্ধনও করতে চাচ্ছেন না”।

একই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্প্রতি বিবৃতিও দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন। সে বিবৃতিতে কমিশন দাবি করে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

কক্সবাজারের এক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ১২ বছর বয়সী কিশোর মোহাম্মদ আয়াস এএফপিকে বলেন, “আমরা আর সেখানে ফিরতে চাই না। আমাদেরকে এর থেকে এখানেই মেরে ফেলুন। কিন্তু সেখানে যাব না”।

একই সাথে রাখাইন রাজ্যে এখনও মিয়ানমারের যৌথ বাহিনীর তাণ্ডব-নির্যাতন চলছে বলে জানায় গত সপ্তাহেই শিবিরে আশ্রয় নেওয়া আরেক শরণার্থী মোহাম্মদ আমিন। তিনি বলেন, “এখনও গ্রামের পর গ্রাম পুড়ছে। আর নারীদের ওপর নির্যাতন করছে সরকারি বাহিনী”।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কক্সবাজারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানায় যে, গতকালও সীমান্তের মিয়ানমার অংশে বড় ধরনের আগুনের কুণ্ডলী দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি এখনও কক্সবাজারে মিয়ানমার অংশ থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশ অংশে আসছেন।

সূত্র: এএফপি

 

এসএইচএস/টিকে  


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি