ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

শীতে শিশুর চাই বাড়তি যত্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫২, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

শীতের দিনে কখনও গরম, কখনও মেঘলা, কখনও বৃষ্টি। ভোরের দিকে শীত শীত ভাব। শীতের দিনে বাইরে বেড়াতে যাওয়া বা রুমের মধ্যে থাকায় চাই মোটা কাপড়। গোসলের জন্যও দরকার পড়ে গরম পানির। শীত মানেই সবার জন্য চাই বাড়তি যত্ন।

নিজেরা এই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিলেও শিশুদের নিয়ে চিন্তায় থাকেন সবাই। শীতে কম বেশি সর্দি-কাশি বা জ্বরের সমস্যা থাকে প্রায় সব শিশুর। এই অবস্থায় শিশুদের প্রতিদিন গোসল করানো উচিত কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকেন বাবা-মা।

শিশুর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে প্রতিদিন গোসল করাতে চান না মায়েরা। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এর ফলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে শিশু। শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়। তাই আমাদের মতো শিশুদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তখন শিশুর শরীরে পানির প্রয়োজন পড়ে।

তাই শিশুর বাড়তি যত্ন নিতে প্রতিদিনই গোসল করান শিশুদের। তবে এক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। শিশুকে কখনই ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন না। কুসুম গরম পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করান। মনে রাখবেন, গোসল করানোর সময় যেন বাথরুমের দরজা, জানালা বন্ধ থাকে।

গোসলের পর পরই গরম তোয়ালে দিয়ে শিশুকে মুড়ে নিন। ভাল করে মাথা, কান মোছাবেন। এই সব জায়গায় পানি জমে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে।

শিশুকে অবশ্যই গ্লিসারিনযুক্ত সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। গোসলের পর সারা শরীরে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। না হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

গোসলের পর শিশুকে খালি গায়ে রাখবেন না। গরম জামা-কাপড়, মোজা, পরিয়ে দিন। এই সময় কিছুক্ষণ শিশুকে রোদে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়।

তবে জন্মের পর এক মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে সপ্তাহে ২ দিন গোসল করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তারপর থেকে প্রতিদিনই গোসল করাতে পারেন। যদি শিশুর ঠান্ডা লাগে, বুকে সর্দি জমে, বা নাক দিয়ে পানি পড়ে তাহলে শিশুকে গোসল না করানোর কথাই বলে চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।

/ আর / এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি