ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রাণু মেধাবীদের, ডিম্বাণু সুন্দরীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৩, ৪ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৪:২১, ৫ জুন ২০১৭

উচ্চশিক্ষিত পাত্র কিংবা সুন্দরী পাত্রী চাই- বিয়ের বাজারে পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন অনেকটা এমনই। বিষয়টা তেমন অবাক করার মতো নয়। কিন্তু মেধাবী ছেলে কিংবা সুন্দরী মেয়ের অভিভাবক হওয়ার জন্য ‘স্পার্ম ডোনার’ বা শুক্রাণুদাতার বাজারেও প্রতিযোগিতা হলে বিষয়টি অবাক করার মতোই। তাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মাস্টার্স পাশ বা চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের শুক্রাণু এবং সুন্দরী মেয়ের ডিম্বাণুর দর  ক্রমেই বাড়ছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা দেশেই এই চিত্র। স্পার্ম ব্যাংকের কর্তা ও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডাক্তার, আইআইটি বা মাস্টার্স পাশ দাতার জন্য বেশির ভাগ গ্রহীতা তিন-চার গুণ বেশি দাম দিতেও রাজি। বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ রোহিত ঘুটঘুটিয়া জানাচ্ছেন, ‘‘কম শিক্ষিত দাতা-র এক ‘ভায়েল’ শুক্রাণুর জন্য ২০০০ টাকা নেওয়া হয়, সেখানে অতি উচ্চশিক্ষিত দাতার এক ‘ভায়েল’ শুক্রাণুর দর ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকাও উঠছে।’’

কেন? উত্তরে তিনি জানালেন, ইচ্ছুক বাবা-মায়েদের বিশ্বাস, শুক্রাণুদাতা মেধাবী হলে তাঁর জিনের বদৌলতে সন্তানেরও সেই রকম মেধাবী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কলকাতার একাধিক স্পার্ম ব্যাংক তাই ‘মেধাবী’ দাতা পেতে নিয়মিত নামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজগুলোতে লিফলেট বিলি করছে, পোস্টার লাগাচ্ছে, ‘হুইসপারিং ক্যাম্পেন’ চালাচ্ছে। কলকাতার সব স্পার্ম ব্যাংকই শুক্রাণুদাতার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধার্য করেছেন ‘স্নাতক।’

ল্যান্সডাউনের এক স্পার্ম ব্যাংকের কর্ণধার, চিকিৎসক রাজীব অগ্রবাল জানান, স্পার্ম দাতা নীরোগ কিনা বা উচ্চবর্ণের কিনা, তা নিয়ে এতদিন লোকে মাথা ঘামাতেন। এখন অগ্রাধিকারের শীর্ষে উঠে এসেছে ‘উচ্চশিক্ষা।’ 

একই কথা জানালেন বেহালার আর্যপল্লীর এক স্পার্ম ব্যাংকের কর্তা সুজয় দাস। তাঁর ভাষায়, ‘‘কয়েক দিন আগেই আমার কাছে মারওয়াড়ি এক শুক্রাণু-গ্রহীতা দম্পতি এসেছিলেন। ভদ্রলোক নিজে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শুক্রাণুদাতার জন্য তিনি মরিয়া ছিলেন।’’

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি