ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

শুভ জন্মদিন হায়দার বসুনিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩০, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১১:৩৫, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

উপন্যাস লিখেছেন ৫০টিরও বেশি। প্রকাশিত হয়েছে ১৮টি। এরপরও নিভৃতচারী এই লেখক জনসম্মুখে আসেন নি। আসতে চাননি। রয়েছেন মাঠির টানে । মা-মাঠির গন্ধ ছেড়ে লেখক আসতে চাননি শহুরে এই কোলাহলে। বলছিলাম কথা সাহিত্যিক হায়দার বসুনিয়ার কথা।

আজ কবির ৭৮ তম জন্ম বার্ষিকী। কবির জন্মাবার্ষিকীতে একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পক্ষ থেকে কবিকে জানাই জন্মদিনের লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

হায়দার বসুনিয়া, ১৯৩৯ সালের ৩০ নভেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার মনার কুটি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জসিম উদ্দিন বসুনিয়া ছিলেন একজন পণ্ডিত মানুষ। কুড়িগ্রাম হাইস্কুল (বর্তমান রিভার ভিউ) থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হন গাইবান্ধা কলেজে। একই কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন নিভৃতচারী এই লেখক। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম এ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট হতে এমএড কোর্স সম্পন্ন করেন।

সরকারী চাকরির নানা সুযোগ আসলেও পেশা হিসেবে বেছে নেন শিক্ষকতাকে। নাজিম খাঁ জুনিয়র হাইস্কুলে প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে উলিপুর মহারানী স্বর্ণময়ী বহুমুখী হাইস্কুলে ১৯৬৬ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষকতা করতে গিয়েও অসংখ্য ভাল স্কুলে সুযোগ পেলেও গ্রামের টানে পড়ে থেকেছেন নিভৃত এক পল্লীতে। ২০০৩ সালে শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন লেখক। তবে থেমে যায়নি তার কলম।

 চালিয়ে গেছেন লেখালেখি। সেই অমূল্য সম্পদগুলো হয়তো কখনো আমাদের সামনে আসতো না, যদি তাঁর ছেলে শাহজাদা বসুনিয়া বইগুলো প্রকাশের উদ্যোগ না নিত। আসছে বইমেলায়ও তার দুটি বই আসছে । কবিতার বই ‘অমোঘ সায়াহ্ন’ আর উপন্যাস ‘হংস সংলাপ ও রঙ্গিন চশমা’ দিয়ে এবারের বইমেলায় আসছেন গুণী এই লেখক। উল্লেখ্য, শাহাজাদা বসুনিয়া ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি করে একটি প্রাইভেট ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন।

 

এমজে/ এআর

 

 

 

 

 

 

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি