ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

‘সততা ও পরিশ্রম মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫২, ১২ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:০০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার

কথায় বলে, চেষ্টা না-থাকলে ভাগ্যও মুখ ফিরিয়ে থাকে। তেমনি চেষ্টা বা প্রয়াস যে মানুষকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে যায় তা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস) গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার। অদম্য ইচ্ছা, প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা, সততা ও আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে মাত্র ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ২০০০ সালে শেষের দিকে ব্যবসা শুরু করেন। নানা বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে এখন তিনি বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস্ সহ ১০ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালনক।

একরাশ স্বপ্ন সঙ্গী করে ভোলা থেকে পাড়ি জমান ঢাকায়। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে বিএসসি ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে। মাত্র ২৪ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান সিনহা টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু চাকরি তাকে বেশি দিন আটকে রাখতে পারেনি। প্রায় তিন বছর চাকুরি করার পর ২০০০ সালে স্পিড বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স গঠনের মাধ্যমে চাকরি নামক পরাধীনতা থেকে বের হয়ে স্বপ্নের জালটা বোনা শুরু করেন। সেই সময় পাশে পেয়েছিলেন বুয়েটের কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে। ইঞ্জিনিয়ার রুহুল মজিদ, আরেক অগ্রজ ইঞ্জিনিয়ার হাসান মোর্শেদ চৌধুরী, অনুজ ইঞ্জিনিয়ার বদরুল হাসান এবং  আশরাফ আলী খান মঞ্জু মিলে গড়ে তোলে বিবিএস।

বিবিএস ক্যাবল বর্তমানে বিস্তার লাভ করেছে। এখন শেয়ার বাজারের ২৫ শতাংশের বেশি বিবিএস লিমিটেডের দখলে। শুধু ব্যবসায়ীক সাফল্য নয়, প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ।তিনি মনে করেন সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও পরিশ্রমই মানুষকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সুনাম, আগামী সম্ভাবনা ও প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক বিষয় নিয়ে একুশে টিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নোমান হাওলাদার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান।

একুশে টিভি অনলাইন :  বিবিএস এর যাত্রা শুরু হয় কিভাবে ?

আবু নোমান হাওলাদার : বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস) ২০০৩ সালে কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ২০০৫ সালে আমরা কারখানা স্থাপন করি। ওই বছরই বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ শুরু হয়। ব্যাপক চাহিদার কারণে পরের বছরই (২০০৬) কারখানা সম্প্রসারণ করা হয়। ২০১২ সালে আবার কারখানা সম্প্রসারণে যাই আমরা।

একুশে টিভি অনলাইন : চাকরি ছেড়ে কেন আপনি ব্যবসায় ঝুঁকলেন ?

আবু নোমান হাওলাদার: ছাত্র থাকা আবস্থা আমার স্বপ্ন ছিলো একজন ভালো মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হবো। বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করব। কিন্তু বুয়েট থেকে পাশ করার পর প্রথমে ধাক্কা খেয়েছিলাম। পড়াশুনা শেষ করছিলাম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু বাংলাদেশে এবিষয়ে তেমন জব নেই। যে কারণে অনেকেই বিদেশ চলে যায়। বুয়েটে অন্য শিক্ষার্থীর মতো দেশে বাহিরে যাওয়া স্বপ্ন আমরও ছিল। কিন্তু কিছু কারণে যেতে পারি নি। দেশে যখন আমি মানসস্মাত জব পেলাম না। শুরুতে আমি কিছুদিন জব করেছি। কিন্তু আমাকে তেমন সুযোগ সুবিধা দেয়নি। এদেশের ইঞ্জিনিয়ার তেমন সম্মান পায় না। বুয়েটের শিক্ষার্থী হয়ে আমার যেভাবে মূলায়ন পেয়েছি। চাকরি জীবনে আমার সেভাবে মূলায়ন পাননি। একদিনে যেমন অসম্মান পেয়েছে। অন্য দিকে দেখলাম কোন কিছু হলেই ইঞ্জিনিয়ারকে দোষারোপ করা হয়। এটা শুধু চাকরির ক্ষেতে নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবেও দায়ী করা হয় আমাদের। হয়তো কোনো কারণে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। এটার জন্য ইঞ্জিনিয়ারকে দোষারোপ করা হয়। এটা খুব হতাশাজনক। আমি দেখেছি ইঞ্জিনিয়ারের কোনো দোষ না থাকলেও অপরাধের ভাগী হতে হয়। এটা খুব দু:খজনক। চাকরি জীবনে দেখলাম, উৎপাদন কম হলেও ইঞ্জিনিয়ারই দায়ী। বিদ্যুৎ সমস্যা, বয়লার কাজ করছে এমন খুটিনাটি সমস্যা জন্য ইঞ্জিনিয়ারকে দায়ী করা হয়। শুধু তাই এমনকি এসব সমস্যার জন্য অনেক অপমান জনক কথা শুনানো হয়। একারণে অনেকেই চাকরি হারাতে দেখেছি। আর তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি পরাধীনভাবে নয় স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমার আত্নবিশ্বাস ছিল। আমি চাকরিতে যে সময় দিচ্ছি। এটা যদি ব্যবসাই সময় দিই অনেক ভালো করব। এমনচিন্তা নিয়েই আমি ব্যবসা শুরু করি।  

একুশে টিভি অনলাইন: দেশে এখন অনেকগুলো কোম্পানি ক্যাবল প্রস্তুত করছে। এতো প্রতিযোগিতার মধ্যে কেমন করছে বিবিএস ক্যাবল?

আবু নোমান হাওলাদার :  আমার মানসম্মত ও কোয়ালিটি সম্পন্ন ক্যাবল প্রস্তুত করে থাকি। যা কোয়ালিটির দিক থেকে এক নম্বার স্টিল বিল্ডিং ফেব্রিকেশনে অন্যতম শীর্ষ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে চলছে বিবিএস ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বৈদ্যুতিক ক্যাবলস যদি সঠিক মানের না হয় তবে এর কারণে ব্যাপক জান ও মানহানির ঘটনা ঘটে। এদেশে প্রতি বছর শুধু শর্ট সার্কিট হয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে থাকে। অন্যদিকে বিল্ডিং কাজের জন্য ক্যাবলস ও একটি গুরুত্বপূর্ণ আইটেম। আমরা দেশ ও অর্থনীতির সেবার কথা চিন্তা করেই ক্যাবলস সেক্টরে অগ্রগামী গিয়েসেছে বিবিএস ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ। দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখতে সম্পৃক্ত হওয়া একঝাঁক তারুণ্যদীপ্ত প্রকৌশলী রয়েছেন এই শিল্প গ্রুপে, যারা সফলভাবে নেতৃত্বে দিচ্ছেন। আর আমরা প্রোডাক্টের কোয়ালিটির বিষয়ে কোনো আপস করি না। ফলে আমাদের ব্র্যান্ডের ক্যাবলসের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

একুশে টিভি অনলাইন: শুরতেই কি কোনো ধরনের বাধাবিপত্তিতে পড়েছেন ?

আবু নোমান হাওলাদার: প্রথম দিকে কয়েক ধরনের বাধার মুখোমুখী হতে হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল অর্থনৈতিক সমস্যা। গ্রহকেরা সঠিক সময়  বিল পরিশোধে করতো না। যে কারণে আমার অধীনে যারা কাজ করতো তাদের সঠিক সময়ে বেতন দিতে কষ্ট হত। এছাড়া নানা অজুহাতে টাকা কম দেওয়ার চেষ্টা করে গ্রহকরা। পুরো বিল দিলেও অনেক সময় ফ্রি-সার্ভিস চায়। অন্যদিকে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং সম্পর্কে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

একুশে টিভি অনলাইন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পে সামনে সম্ভাবনা কেমন দেখছেন ?

আবু নোমান হাওলাদার:  বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সম্ভাবনা অনেক। বর্তমানে যারা প্রধান রপ্তানিকারক তাদের দেশে শ্রমের মজুরি অনেক বেড়ে গেছে। কোরিয়া, চীনসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো অধিক মূল্যসংযোজনশীল শিল্পের দিকে ঝুঁকছে। তাই ক্রেতাদের কাছে বিকল্প সরবরাহকারীর গুরুত্ব বাড়ছে। সিঙ্গাপুরে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করছে। এরা এ শিল্পের প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।

একুশে টিভি অনলাইন:  দেশে ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং এর বাজার কত বড়?  এ খাতের ভবিষ্যত সম্ভাবনা কেমন ?

আবু নোমান হাওলাদার :  প্রি- ইঞ্জিনিয়ার্ড স্টিল বিল্ডিংয়ের বাজার সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে এটা বলা যায়, বাজারের আকার যথেষ্ট বড় এবং দিন দিন এর ব্যাপ্তি বাড়ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে এর চাহিদা। আর এর যথেষ্ট কারণও আছে। অনেক সুবিধা তৈরি করছে। 

স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এ বিল্ডিং তৈরি করা যায়। শিল্প-কারখানায় আরসিসি বিল্ডিংয়ের পরিবর্তে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরি করা হলে তুলনামূলক আগে ওই কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব। ফলে এটি ব্যবসায় বাড়তি সুবিধা এনে দেয়। এটি সহজে স্থানান্তরযোগ্য। কোনো কারণে রি-লোকেট বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে চাইলে সহজেই নেওয়া সম্ভব। কিন্তু আরসিসি বিল্ডিং কোনোভাবেই স্থানান্তর করা যায় না।

মেয়াদকালে প্রি-ইঞ্জিনিয়ার্ড স্টিল বিল্ডিংয়ের মূল্য কমে না। বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেললেও সব উপকরণ ভালো দামে বিক্রি করা যায়। কিন্তু আরসিসি বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব নয়। প্রি-ইঞ্জিনিয়ার্ড স্টিল বিল্ডিংয়ে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ও অনেক কম। এসব কারণে প্রি-ইঞ্জিনিয়ার স্টিল বিল্ডিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিদেশে সরকারি বড় বড় স্থাপনা যেমন- বিমানবন্দর, বাণিজ্যিক ভবন, সমুদ্রবন্দর, রেল স্টেশন, বড় বড় গুদাম ইত্যাদি এখন আর আরসিসিতে তৈরি হয় না। আগামী দিনে উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এসব স্থাপনা স্টিল বিল্ডিং এ তৈরি করতে হবে। দেশের বাজারের পাশাপাশি এ শিল্পে রপ্তানিরও অনেক সুযোগ রয়েছে। ওই বাজার অনেক বড়। যেসব দেশ প্রি-ইঞ্জিনিয়ার্ড স্টিল বিল্ডিং এর প্রধান রপ্তানিকারক সেখানে শ্রমমূল্য অনেক বেশি। তাই রপ্তানিতে ভালো করার অনেক সুযোগ বাংলাদেশের রয়েছে।

একুশে টিভি অনলাইন: আপনারা যে ভালো করছেন তার কোনো স্বীকৃতি আছে?

আবু নোমান হাওলাদার: আমরা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির চেয়ে অনানুষ্ঠানিক স্বীকৃতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা ভালো কাজ করছি বলেই দেশ-সেরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরি করিয়ে নিচ্ছে। তবে তারপরও কিছু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির কথা বলা যায়। মানসম্পন্ন কারখানা ও পণ্যের জন্য আমরা তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সনদ পেয়েছি। এগুলো হচ্ছে- এএনএবি (এক্রিডেটেড), জেএএস-এএনজেড এবং আইএসও-৯০০০১:২০০০। এর বাইরেও তিনটি পদক পেয়েছে বিবিএস লিমিটেড। এগুলো হলো বিজনেস এশিয়া’র বেস্ট এন্টারপ্রেনার অব দ্যা ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০১০-১১,’ ফিন্যান্সিয়াল মিরর-এর ন্যাশনাল বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ ও কবি নজরুল ইসলাম স্বর্ণ পদক- ২০১১’।

একুশে টিভি অনলাইন : আপনার সাফল্যের গোপন মন্ত্র কী?

আবু নোমান হাওলাদার : পেশাদারিত্ব ও পণ্যের সর্বোচ্চ কোয়ালিটি নির্ধারণ করার কারণে দিনে দিনে বাজারে আমাদের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের পণ্য উৎপাদিত হয় জার্মান মেশিনে। কাঁচামাল ব্যবহার করি সর্বোচ্চ মানের। একই সঙ্গে অনেক গ্রেডের ক্যাবল উৎপাদন করি আমরা। আর আমাদের রয়েছে নির্মাণ শিল্প সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা।

একুশে টিভি অনলাইন: বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস্ ও বিবিএস ক্যাবলস্ নিয়ে আগামীর পরিকল্পনা কি?

আবু নোমান হাওলাদার : বিবিএস লিমিটেড ও বিবিএস ক্যাবলস্ ভারি শিল্পের অন্তর্গত। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বড় করার স্বপ্ন আমাদের আছে। বিবিএস লিমিটেডের মতো একদিন বিবিএস ক্যাবলস্ও বিদেশে রপ্তানি  হচ্ছে, এ স্বপ্ন নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের অনেক শ্রমিক এখন বিদেশে এ ধরনের ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কাজ করে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই। কাজে লাগাতে চাই তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা।

একুশে টিভি অনলাইন: মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য একুশে টিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে আপনাকে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ

আবু নোমান হাওলাদার : একুশে টিভি অনলাইন পরিবাকেও ধন্যবাদ।

টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি