ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সন্তানের সুস্থতা লুকিয়ে আছে মায়ের দুধে: গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২২, ২ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৬:২৩, ২ আগস্ট ২০১৮

বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তান জন্মের পর মায়ের বুকের দুধকে প্রথম ভ্যাকসিন বলা হয়। বিশেষ করে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুক্ষণ পর মায়ের বুকে যে হালকা হলদেটে দুধ নিঃসৃত হয়, তাতে আছে নানা ধরনের অ্যান্টিবডি। যা সদ্যোজাতকে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। একে বলে কোলোস্ট্রাম। যা সন্তানের সুস্থতার জন্য এটাই উত্তম।

এছাড়া এই দুধ প্রোটিনে ভরপুর। মায়ের দুধের সঙ্গে কৃত্রিম বাজারজাত দুধ (ফর্মুলা মিল্ক)-এর মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য রয়েছে। মায়ের দুধের উপাদান শিশুর প্রয়োজন অনুযায়ী অনবরত বদলে যায়। সদ্য জন্মানো শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়ত মাতৃদুগ্ধের উপাদান বদলাতে থাকে। ফর্মুলা দুধে কিন্তু তা হয় না।

তাই জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। মাতৃদুগ্ধে ডোকোসাহেক্সানোয়িক অ্যাসিড নামে একটি বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে, যা শিশুর বুদ্ধির বিকাশে অত্যন্ত উপযোগী। বিভিন্ন ভাবনা-চিন্তা ও বুদ্ধি প্রয়োগে মস্তিষ্কের বিভিন্ন নতুন নতুন সংযোগ রক্ষাকারী পথ বিকাশের জন্যও তা প্রয়োজন।

ডোকোসাহেক্সানোয়িক অ্যাসিড (ডিএইচএ)। চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম নিউরোজেনেসিস। দৃষ্টিশক্তির বিকাশের জন্যও এই ডিএইচএ-র ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। কেননা, রেটিনার গঠন ও কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজন এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। মায়ের দুধ পান করে বেড়ে উঠলে বুদ্ধি থেকে দৃষ্টিশক্তি— সবই ভাল থাকবে।

তবে ইদানীং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হয় বলে মা ব্যথায় কাতর থাকেন। সন্তানকে স্তন্যপান করানোর কষ্ট সহ্য করতে চান না। মায়ের দুধ খেলে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মা-শিশু দু’জনের মধ্যেই একটা বন্ধন তৈরি হয়। এই ব্যাপারটা মায়েদের মাথায় রাখা উচিৎ।

যে সন্তান শুধুমাত্র মায়ের দুধ খেয়ে বেড়ে ওঠে, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের থেকে অনেক বেশি।

সদ্যোজাত শিশুর পাচনতন্ত্র বা ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ওদের মতোই ছোট্ট আর অপরিণত। অন্য খাবার হজম করা বেশ মুশকিলের। আর ঠিক এই কারণেই ওদের জন্য আদর্শ খাদ্য হল কোলোস্ট্রাম। প্রোটিন, ভিটামিন-এ ও সোডিয়াম ক্লোরাইড সমৃদ্ধ অত্যন্ত পুষ্টিগুনসম্পন্ন এই দুধ সামান্য খেলেই শিশুর পেট ভরে যায়।

সদ্য মায়ের এই হলদেটে দুধে গ্রোথ ফ্যাক্টর ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফ্যাক্টর থাকায় শিশুর ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রথম ধাপ তৈরি হয়। আর পুষ্টির দিক থেকে মায়ের দুধের কোনও বিকল্প নেই।

সূত্র : আনন্দবাজার।

কেএনইউ/ এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি