ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনোভেশন হাব’ : এটুআই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২২, ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ০৯:৫৮, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিভিত্তিক ভাবনা-উদ্ভাবনগুলোকে কাজে লাগাতে সব পাবলিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েইনোভেশন হাবপ্রতিষ্ঠা করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তিকে এক ছাদের নিচে আনার এই উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছেন উপাচার্যরা মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এটুআই আয়োজিত উপাচার্য সম্মেলনে ইনোভেশন হাবের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরার পর পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন প্রধানরা এব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন তারা

প্রসঙ্গত, দ্রুত গতিতে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়তে এটুআই দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব প্রতিষ্ঠা করবে। আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে নাগরিক সমস্যাগুলোর বাস্তবায়নযোগ্য সমাধান সম্ভব হবে। প্রত্যেকটি হাবের তত্ত্বাবধানে একটি এক্সিকিউটিভ কমিটি থাকবে, একজন করে হাব ফোকাল পার্সন এবং উপদেষ্টা-মেন্টর থাকবে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হাবকে এক সুতোয় বাঁধতে http://ilab.gov.bd/ একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ হলো মৌলিক জ্ঞানের সৃষ্টি। আর ইনোভেশনের হলো অভিনব কিছু করা। এখনও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব রয়েছে। এ দুরুত্ব কমাতে হবে, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্পরিক যোগাযোগ থাকতে হবে। এজন্য যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ জরুরি।

তিনি বলেন, ঢাবিতে একটি ল্যাবের জন্য ৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে ইনোভেশন অ্যান্ড ইন্টারপ্রিনিউরশিপ সেন্টার রয়েছে। আমাদের আগে সমস্যা-প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করতে হবে। এই সমস্যা চিহ্নিত করতে হলে ইন্ডাস্ট্রি-বিশ্ববিদ্যালয়ের সেতুবন্ধন ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও কলের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু ক্লাস আর বইয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ধরে রেখে উচ্চশিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। এখনিই সময় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর। আমরা কেবল প্রযুক্তি আমদানিকারক হিসেবে থাকতে চাইনা, প্রযুক্তি রপ্তানিকারক হতে চাই। এ জন্য তরুণদের সক্ষমতা-সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইনোভেশন হাব সম্পর্কে অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা তুলে ধরে এটুআই।

এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী বলেন, তরুণরা প্রাকৃতিক-রাজনৈতিক দুর্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রযুক্তির যুগে তরুণ সম্প্রদায়কে প্রযুক্তির মাধ্যমে নেতৃত্ব দিতে হবে। যুগের চাহিদা পূরণে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তরুণদের ভিন্ন ভিন্নভাবে তৈরি হতে হয়েছে। যেটা ১৯৭০ এর দশকে একরকম ছিলো, ২০০০ সালে প্রাধান্য দেয়া হলো তরুণদের টিমওয়ার্ক। ২০২০ সালে তরুণদের জানতে হবে প্রবলেম সলভিং। ২০৩০ সাল নাগাদ অনেক পেশা নাও থাকতে পারে। তাই এখন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদেরকে নতুন সময়ের জন্য তৈরি করতে হবে।’

দেশের পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন প্রমুখ।

 

আর

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি