ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সমৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৬, ২৮ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১২:২৫, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

সমৃদ্ধি পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ট্রেলিয়া সফররত প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থী উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এখানে যারা পড়তে আসে.. এখান থেকে শুধু ডিগ্রি নিয়ে যাওয়া নয়, এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
এসময় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থাপিত বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা।
ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির সাউথ ক্যাম্পাসে ইন্সটিটিউট অফ ওসন গভার্নেন্সের সামনে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর এই আবক্ষ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সমুদ্রসীমা নির্ধারণে ১৯৭৪ সালে সংসদে আইন করায় ইন্সটিটিউট অফ ওসন গভার্নেন্সের সামনে বাংলাদেশের জাতির জনকের আবক্ষ ভাস্কর্যটি স্থাপন সঠিক বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক আমাদের সংসদে ১৯৭৪ সালে এই আইনটি করে। আর সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে ১৯৮২ সালে জাতিসংঘ আইন করে।
নিজের সময়ে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দুই প্রতিবেশীর সঙ্গেই সমাধান করি।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমস্যা সমাধানের অনেকে ক্ষেত্রই তিক্ততা সৃষ্টি হওয়ার কথাও বলেন তিনি। সমুদ্র সম্পদ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কীভাবে কাজে লাগানো যায় , সেদিকে নজর দেওয়ার উপর জোর দেন তিনি। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে এই সম্পর্কিত জ্ঞান আহরণের কথাও বলেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য গ্লোবাল সামিট অব উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এদিন সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার নেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতা কাজে লাগাতে এবং তাদের সহযোগিতা ও অধিকার তুলে ধরতে একটি নতুন বৈশ্বিক জোট গঠনের আহ্বান জানান। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী যেসব নারী কাজ করে যাচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে পুরস্কারটি উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের সহযোগিতা ও তাদের অধিকার তুলে ধরতে আমাদের একটি নতুন জোট গঠন করতে হবে। লাখ লাখ নারীর স্বার্থে অবশ্যই আমাদের অভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ নিয়ে একত্রে কাজ করতে হবে।
এদিকে, গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নারী উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী নারী প্রতিনিধিরা। পুরস্কার গ্রহণের পর সিডনির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান তাঁরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি