কম্বোডিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
সমৃদ্ধির পথে সহযোগী হোন
প্রকাশিত : ১৭:৪০, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৮:০০, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে অংশীদার হতে কম্বোডিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আসুন দুই দেশের মানুষের সমৃদ্ধির পথে আমরা একে অপরের সহযোগী হই। এভাবে আমরা এক সাথে লাখ লাখ মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি। সোমবার দেশটির রাজধানী নমপেনের হোটেল সোফিটেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যে সহযোগিতা দুই চেম্বারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে তা কার্যকর হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, কম্বোডিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশেরকূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৬৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ কম্বোডিয়ায় বছরে ৪০ কোটি টাকার পণ্য রফতানি করে। আর দেশটি থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে ১৩ কোটি টাকার পণ্য।
এ প্রসঙ্গে হতাশার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সত্যিকারের সম্ভাবনার প্রতিফলন এখানে হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আসিয়ানভুক্ত অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে, কম্বোডিয়ার সাথেও এমনটি হবে।
দেশটির ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে চীন, মিয়ানমার ও ভারতের অর্থনৈতিক করিডোরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। সুযোগটি কম্বোডিয়ার ব্যবসায়ীরাও কাজে লাগাতে পারেন বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের চেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ। বিনিয়োগ নীতির আলোকে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আইনি সুরক্ষা, কর অবকাশ সুবিধাসহ যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কছাড় দিচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
আর
আরও পড়ুন