ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

সস্তা চেতনা বদলে হলো ডাক্তার বাড়ি

কাজী ইফতেখারুল আলম

প্রকাশিত : ২২:২২, ১৭ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ০০:২০, ৩ আগস্ট ২০২৩

একটি ঘটনাই বদলে দেয় ডা. তানভীর ইসলামের চিন্তাভাবনা। মানুষের জীবনবোধ আসলে কি হওয়া উচিত তিনি খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন। তাই মানবসেবার ব্রত নিয়ে শুরু করেন নতুনভাবে পথচলা। একা থেকে কয়েকজন, কয়েকজন থেকে প্রতিষ্ঠান। সবারই উদ্দেশ্য এক-মানবসেবা। ইতোমধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগ থেকে প্রথমে কিউরেস ও পরে ডাক্তারবাড়ি। এবার মুখোমুখি হয়েছেন অনলাইনের। সাক্ষাতকার নিয়েছেন কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক

ইটিভি অনলাইন : কিউরিস প্রতিষ্ঠার গল্পটা-

ডা. তানভীর ইসলাম : বর্ষার এক বিকেল। ফুটপাতে হাঁটছিলাম। হঠাৎ এসে হাত পাতলো সাত আট-বছরের একটি ছেলে। চোখে তার জল, শীর্ণ শরীরের হাড়গুলো বেরিয়ে আছে। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি। কয়েকটি টাকা দিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম। সেই রাতেই এ ছেলেটি বদলে দিল আমার চিন্তা চেতনা। তখন ভাবলাম এদের জন্য সাহায্য নয়, প্রয়োজন এই মানুষগুলোর চিকিৎসাসেবা। ২০১৫ সালের জুনে মেডিকেলের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে গড়ে তুললাম কিউরিস (কিউরেটিভ  ইনিশিয়েটিভ ফর সোসাইটি)। ল্যাটিন শব্দ কিউরিসের ইংরেজি মানে ‘হেলথ কেয়ার’, বাংলায় ‘স্বাস্থ্যযত্ন’।

দুই বছরে অনেক কাজ করেছে কিউরিস। মেডিকেলের চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আমাদের এই  সংগঠন এক টাকায় রোগী দেখে, দুর্যোগে ত্রাণ দেয়, মেয়েদের বয়:সন্ধিকালীন সমস্যার সমাধান করে।

ইটিভি অনলাইন : ডাক্তার বাড়ি কী? কেন দৃষ্টিকোণ থেকে মনে করলেন এটি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন? 

ডাক্তারবাড়ি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের একটি মডেল যেখানে ধাপে ধাপে অনেকগুলো ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে যারা সর্বনিম্ন মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।  সাধ্যের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করাই আমাদের কাজ।

সরকারী হাসপাতালের উপচে পড়া রোগীর ভিড় আর বেসরকারী হাসপাতালের অতি উচ্চমূল্যের স্বাস্থ্য সেবার মাঝে সাধারণ জনগণ কেমন অসহায় বোধ করেন তা ভুক্তভোগী ছাড়া উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। ১৭ কোটি মানুষের দেশে অপ্রতুল সরকারী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার কারণে প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পক্ষে যথাযথ সেবা লাভ করাটা দিবাস্বপ্নই বলা চলে। আবার তারা যে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দারস্থ হবেন, অতিরিক্ত ব্যয়বহুল হবার কারণে সেটিও সম্ভব হয়ে ওঠে না।

তবুও মানুষ বেসরকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে যান একটু উন্নত সেবার আশায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক মনোভাব প্রকট থাকায় সেবা প্রাপ্তির অসন্তুষ্টি থেকেই যায়। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হবার গল্পে যোগ হয় আরও কোনো পরিবারের নাম। আমরা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছি, বেসরকারী খাতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এত উচ্চমূল্য নির্ধারণ কেন করে থাকেন? অথবা চিকিৎসা সেবার ঠিক কোন ক্ষেত্রটিতে ব্যয় সবথেকে বেশি? আমাদের পর্যবেক্ষণ বলে একজন মানুষের চিকিৎসার ধাপগুলোর মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অর্থাৎ ইনভেস্টিগেশনের ধাপটিতে খরচ হয় সবথেকে বেশি।

বেসরকারী খাতে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ইনভেস্টিগেশন করতে এসেই ব্যক্তি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। অথচ আমাদের পর্যবেক্ষণ বলে বেসরকারী খাতের প্রতিটি ইনভেস্টিগেশনের মূল্য নির্ধারণ করা হয় অস্বাভাবিক বেশি। কিউরিসের পক্ষ থেকে স্পার্ক এক্সিলারেটর ২০১৭-তে অংশ নিয়ে ঠিক এই জায়গাটাতে ব্যয় কমিয়ে আনার যে প্রজেক্ট দেখিয়েছিলাম, সেটিই ‘ডাক্তার বাড়ি’।

ইটিভি অনলাইন : ডাক্তার বাড়ি সেবাগুলো কি কি?

ডা. তানভীর  ইসলাম : চেম্বারকেন্দ্রীক চিকিৎসা সেবা – নূন্যতম মূল্য ১০০ টাকা। রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক ল্যাবরেটরি সরকারী সমমান কিংবা তার থেকেও কম খরচে।  একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিস্কার হবে। রক্তের সব থেকে কমন পরীক্ষা হল CBC বা Complete Blood Count. এই পরীক্ষার সর্বনিম্ন সরকারী মূল্য ১৫০ টাকা ঢাকা মেডিকেলে। বেসরকারী ডায়গনস্টিক সেন্টারে মূল্য ৫০০ শত টাকা। এই পরীক্ষার মূল্য ডাক্তার বাড়িতে হবে মাত্র ১২০ টাকা। এভাবে সমস্ত পরীক্ষার মূল্য সরকারী সমমানের কিংবা তার থেকে সামান্য কম হবে। প্রশ্ন আসতে পারে মানের ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে কিনা?

উত্তর হচ্ছে একেবারেই না। এটি কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়। এটি একটি সামাজিক উদ্যোগ, যেখানে উদ্যোক্তা লাভের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠান চালাতে যে খরচ প্রয়োজন শুধুমাত্র সে হিসাবেই মূল্য নির্ধারণ করছেন।

প্রাথমিকভাবে যে যন্ত্রপাতি এবং আনুষঙ্গিক খরচের ব্যাপারগুলো রয়েছে তার যোগান দিচ্ছে স্পার্ক বাংলাদেশ। শুধু একবার ভেবে দেখুন যে এরকম প্রতিষ্ঠান যদি শুধু এই ঢাকা শহরেই কয়েকটি করা যায় তাহলে দরিদ্র মানুষের কতটা উপকার হবে। এই প্রজেক্টটি ২০১৭ সালের স্পার্ক এক্সেলেটরে দুটো পুরষ্কারের মধ্যে দুটোই লাভ করেছে। আশা করছি এই আগস্ট থেকে আমরা আমাদের  স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব।

ইটিভি অনলাইন : সমাজের কোন কোন শ্রেণির মানুষকে এই সেবা দিচ্ছেন? এই সেবার আওতায় কোন ধরণের জনগোষ্ঠী রয়েছেন?

ডা. তানভীর : সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে একে একে কমলাপুর বস্তি, শাহবাগ, সদরঘাট, তেজগাঁও ও সাভারসহ ঢাকাও ঢাকার আশেপাশে আমরা এই পর্যন্ত ৫০টি হেলথ ক্যাম্প করেছি। প্রতিটি ক্যাম্পে দু’জন পাশ করা চিকিৎসক ও পাঁচ-ছয় জন মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী চিকিৎসা সেবা দেন। সেখানে অসুস্থ শিশুদের বিনামূল্যে রোগের দাওয়াই দেওয়া হয়, সুস্থ শিশুদের ও চেকআপ হয়। ডাক্তারাও টিকা দিয়েছে কীনা, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চতা বাড়ছে কিনা?  কৃমিনাশক ও ভিটামিন ট্যাবলেট খেয়েছে কিনা সেসব তথ্য ও সংগ্রহ করেন।

ইটিভি অনলাইন : মেডিকেলক্যাম্পে কোন কোন রোগীগুলো বেশি আসে? তৃণমূলের রোগীদের সচেতনার সৃষ্টির জন্য কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না?

ডা. তানভির ইসলাম : তৃণমূলের রোগীদের মধ্যে ‘খোস-পাঁচড়া, চুলকানি, দাতের ক্ষয়রোগে আক্রান্ত রোগীই বেশি থাকে। এই ক্ষেত্রে ডা. ফাতেমা খাতুন আমাকে জানিয়েছেন-  ‘সিফিলিস, গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত কিশোরও পেয়েছি আমরা। ডা. মুমতাহিনা মৌ জানিয়েছেন, ‘অপরিষ্কার জীবন, অস্বাস্থ্যকর খাবারও সাধারণ পানি পানের ফলে ওরা ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিসও টায়ফয়েডে বেশি ভোগে।

রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য কিউরিসের অনেকগুলো কর্মসূচি আছে। তেজগাঁও বস্তিতে হেপাটাইটিস ‘বি’ ক্যাম্পেইনসহ অন্য কার্যক্রমেও আমরা দেখেছি, রোগী এমনকি তার মা-বাবাও রোগের ব্যাপারে উদাসীন।

‘দাঁতের সুরক্ষা কর্মসূচি’—যার শুরু হয়েছিল সাভারে। নিয়াজ আহমেদ জানালেন, ‘ক্যাম্পগুলোতে কীভাবে, কয় বেলা দাঁত ব্রাশ করতে হবে, দাঁতের ক্ষয়রোধের কারণ জানাই। দেশটিভির অনুষ্ঠান উপস্থাপিকা দন্ত বিশেষজ্ঞ সিফাত রহমান, সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও নাঈমা আলীসহ আরো অনেকে এই কর্মসূচিতে যুক্ত আছেন।

ইটিভি অনলাইন : আমরা জানি যে, কিউরিসের ‘বয়সন্ধির সন্ধিবিচ্ছেদ’ নামক একটি কর্মসূচি পরিচালনা করছেন এই কর্মসূচির মাধ্যমে কি কি কাজ করছেন?

ডা. তানভীর : কিউরিসের অন্যান্য এক কার্যক্রম ‘বয়সন্ধির সন্ধিবিচ্ছেদ’। এর শুরুর গল্পটি কোনোদিন ও ডেল্টা মেডিকেলের ছাত্রী সামান্থা সাবেদ ভুলতে পারবেন না। গত বছর কমলাপুর বস্তিতে আমরা ক্যাম্প করছিলাম। হঠাৎ ১২-১৩ বছরের একটি মেয়ে লাজুক মুখে আমাকে কিছু বলতে চাইলো। একটু দূরে নির্জনে নিয়ে বললো, তার ক্যান্সার হয়েছে। কীভাবে বুঝলে?  বললো, রক্ত ঝরছে।

সেই থেকে গ্রাম ও মফস্বলের স্কুলের ছাত্রীদের বয়সন্ধিকালীন সমস্যা ও সেগুলোর সমাধান জানানোর জন্য চালু হলো ‘বয়:সন্ধির সন্ধিবিচ্ছেদ’। প্রথম ক্যাম্পটি হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে সিলেটের হরিপুরের হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়েছিলেন শ্রাবণী আহমেদ ও জেনি ইসলামসহ পাঁচজনের একটি দল।

তাঁদের একজন সামান্থা বললেন, ‘ওদের মধ্যে অনেক কুসংস্কার আছে। পিরিয়ডের পর রিন্টিকে খারাপ বাতাস লাগবে বলে স্কুলে, গোছল করতে যেতে দেওয়া হয়না।’ রিশা রাণী বিশ্বাস বললেন,  পিরিয়ডে  একটি সাধারণ বিষয় অনেক মেয়েই জানেনা। তারা এ নিয়ে কথা বলতেও লজ্জা পায়। এই সময়ে তাদের কী ধরনের খাবার বেশি খেতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়, পেটে ব্যথা হলে সেটির চিকিৎসা, ন্যাপকিন কোথায় ফেলতে হবে সেগুলো তাদের এই ক্যাম্পের মাধ্যমে জানিয়েছে।

মীম ফেরদৌস বললেন, ‘অস্বাস্থ্যকর কাপড় বা তুলো ব্যবহার করলে এমন কি জরায়ু মুখের ক্যান্সার হতে পারে সেসব বলেছি।’ কর্মশালার পর ওরা অনেক প্রশ্নের জবাব জানতে আমাদের কাছে এসেছিল। এরপর ঢাকা, বরিশাল, কুষ্টিয়ার স্কুলে এই কর্মসূচি চলে। তবে অনুদানের অভাবে কার্যক্রমটি এখন বন্ধ আছে।

ইটিভি অনলাইন : মানবসেবায় দুর্যোগকালে কিউরিস ত্রাণ সরবরাহ করে, সে সম্পর্কে কিছু বলেন?

ডা. তানভীর : বিভিন্ন দুর্যোগে ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘কিউরিস’। সর্বশেষ তাঁরা হাওড়ে বন্যা আক্রান্তদের ত্রাণ, ওষুধ, চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। আমরাই প্রথম হাওরে ত্রাণ নিয়ে গিয়েছি। সে এলাকার ৩শ পরিবারে দুই দফায় ত্রাণ ও ওষুধ বিলিয়েছি। ‘দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা কোনো দিন ভুলবো না।’

ইটিভি অনলাইন : কিউরিসের মাধ্যমে সেবা দিতে গিয়ে রোগীদের সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা যদি থাকে সেটা বলুন?

ডা. তানভীর : মানবতার সেবা করতে গিয়ে অনেক ঘটনা জমেছে কিউরিসের সদস্যদের ঝুলিতে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পানি বিক্রেতা এতিম সাকিবের সঙ্গে হেলথ ক্যাম্পে পরিচয় হয়েছিল অপু সাহাদের। এরপর হঠাৎ জানলেন, হাসিখুশি এই কিশোর দুর্ঘটনায় পড়েছে। তিনি ও ফাইয়াজ আহমেদ মিলে ওকে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এলেন। সে হাঁটতে পারছিল না, ব্যান্ডেজ বাঁধা, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরশমণি রোগী দেখে বললেন, ইনফেকশন  হয়েছে। অপারেশন না হলে পরে পা কেটে ফেলে দিতে হতে পারে। সাকিবের অপারেশন করা হলো।

রোগীদের বিছানায় শুয়ে থাকা ছেলেটিকে প্রতিদিন করে খাওয়াতেন তামান্না আশরাফী। সোহরাওয়ার্দীতে ফিরে গেলে তো তার চিকিৎসা হবে না বলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়ার পর তাকে বাসায় নিয়ে গেলেন ফারহানা আক্তার ও তাঁর স্বামী শুভ্রনীল। তিনি মেডিকেলে পড়তে গেলে তার শ্বাশুড়ি দেখাশোনা করতেন। সন্ধ্যায় সবাইকে গান শোনাতো ছেলেটি। লুডু খেলতে খুব ভালোবাসতো। ভিডিও গেমস কিনে দেবার পর খুশিতে কেঁদে ফেলেছিল। সুস্থ হবার পর সে ফিরে গেছে। এসব কাজ  করে পুরষ্কারও পেয়েছে কিউরিস।

ইটিভি অনলাইন : কিউরিসের স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা করতে আর্থিক সহযোগিতা কীভাবে আসে?

ডা. তানভীর ইসলাম : ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকসহ আমাদের এখন ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী আছেন। তাঁরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়েন। তাদের থেকে মাসে ১শ টাকা চাঁদা নেয়া হয়। যে কোনো দয়াবান মানুষের সাহায্যে কিউরিস চলে। 

এ বছর স্পার্ক বাংলাদেশ তাদের ‘পিয়ার রিভিউ’ও ‘অডিয়েন্স চয়েজ’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। তবে এখনও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। টাকার অভাবে আমাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সংগঠনের ‘প্রচারণার টাকাগুলো মানুষের কাজে ব্যবহার করলে অনেকে উপকার আসবে তাই  ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তবে ফেসবুকে সংগঠনের কার্যক্রম জানানো হচ্ছে সবাইকে। যে কেউ সাহায্য করতে চাইলে ফোন করতে পারেন-০১৭৪২০৯৪৬৭৯। তবে এত অল্প টাকায় সব কাজ করা সম্ভব নয়।

ঢাকার শ্যামলীতে কিউরিসের অফিস আছে। সেখানে এক টাকায় রোগী দেখা হয়। এমাস থেকে ডাক্তার বাড়ি নামে একটি ডায়গস্টিক সেন্টার চালু করা হচ্ছে। ধীরে-ধীরে আমরা মানুষের সাহায্যে বস্ত্রহীনদের জন্য বস্ত্র ব্যাংক, নারীদের স্বাবলম্বী কর্মসূচি, বেকারদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম চালু করতে চাই।

কেআই/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি