ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

সান্ধ্যকোর্সে পকেট ভারি শিক্ষকদের, অসন্তোষ শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত : ১৬:২২, ২ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১১:০৩, ৩ জুন ২০১৮

গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত ও অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই মূলত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হয় সান্ধ্যকালীন কোর্স। আগে সীমিত পরিসরে চালু হলেও দিন দিন এর ব্যাপকতা বাড়ছে। আগে বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিপ্লোমা কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স করানো হতো। তবে এখন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ বিভাগেই চড়া টিউশন ফিতে ওইসব কোর্সের পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন মার্স্টার্স কোর্সের ব্যবস্থা আছে। এতে একদিকে যেমন যথাযথ শিক্ষার মান নিশ্চিত হচ্ছে না, অন্যদিকে কোর্স ফি’র টাকাও যথাযথ খাতে ব্যয় হচ্ছে না। দিনের পর দিন এমন অসচ্ছতা চলতে থাকলেও যেন দেখার নেই কেউ। এদিকে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ বাড়লেও সান্ধ্যকালীন শিক্ষকদের মুখে তৃপ্তির ঢেঁকুর। কারণ শিক্ষার্থীদের পকেট কাটা গেলেও তাদের পকেট তো ঠিকই ভারি হচ্ছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিপুল সংখ্যক যুবকের কর্মসংস্থানের জন্য প্রায়োগিক শিক্ষার ব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সান্ধ্যাকালীর কোর্স চালু হয়। কিন্তু দিনশেষে এর কোনটিই হচ্ছে না। মাঝখান থেকে পকেট ভারি হচ্ছে কোর্সের শিক্ষকদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্সে থেকে অর্জিত অর্থের ৬০ শতাংশই পান কোর্স সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। ফলে, সান্ধ্যকোর্সে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে এসব শিক্ষকের থাকে ব্যাপক আগ্রহ। তাদের বেশিরভাগই দায়সারা গোছের ক্লাস নিয়ে দ্রুত কোর্স শেষ করে দেন। এতো টাকা কোর্স ফি গুণে শিক্ষার্থীরা কতটা ‍শিখতে পারছে সেটি নিয়ে চিন্তা করার সময় ক’জনার আছে? দায়সারা ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত কোর্স শেষ করে শিক্ষার্থীদের পাশের সার্টিফিকেট তো দেওয়া হচ্ছে, এটিও বা কম কী! প্রায় শিক্ষকের ভাবখানা এমন।    

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫টি বিভাগ ও ৮টি ইনস্টিটিউটে সান্ধ্যকোর্স চালু রয়েছে। প্রতিবছর এই ৩৩টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে চূড়ান্তভাবে ভর্তি হন প্রায় আড়াই হাজার নিয়মিত শিক্ষার্থী। আর এই ৩৩টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটেই সান্ধ্যকোর্সে প্রতি বছর ভর্তি হন প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী। এই চার হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি বছর আদায় করা হয় অন্তত ৬৬ কোটি টাকা। এর অধিকাংশ টাকা শিক্ষকদের বেতনের জন্য ব্যয় হয়। ফলে সান্ধ্যকোর্সে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে এসব শিক্ষকের থাকে ব্যাপক আগ্রহ। এমনকি যেসব বিভাগে সান্ধ্যকোর্স চালু হয়নি সেসব বিভাগের শিক্ষকদেরও এই কোর্সের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ-লবিং থাকে ব্যাপক। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকদের এই সান্ধ্যকোর্স-প্রীতির কারণে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিয়মিত শিক্ষার্থীরাও। কারণ ব্যাংকসহ অনেক চাকরির ক্ষেত্রে দুই বছরের মাস্টার্স করা শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বদ্বিতা করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে ৫ বছরের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীর।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থীর প্রতি সেমিস্টারে বেতন ৩০০ টাকা। তাকে মাস্টার্স সম্পন্ন করতে পড়তে হয় দুটি সেমিস্টার। অথচ একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্সের একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে বেতন দিতে হয় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। মাস্টার্স শেষ করতে তাকে পড়তে হয় ৬টি সেমিস্টার। এ হিসেবে সান্ধ্যকোর্সের একজন শিক্ষার্থীর মাস্টার্স শেষ করতে খরচ পড়ে তিন লাখ টাকারও বেশি। আবার, সান্ধ্যকোর্সের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি পরিমাণে টাকা দিলেও এসব শিক্ষার্থীকে পরিবহন, আবাসিক সুবিধাসহ অন্য কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি শাখা থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি সেমিস্টারে বেতন বাবদ নেওয়া হয় ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা। মাস্টার্স সম্পন্ন করতে তাদের দুটি সেমিস্টার পড়তে হয়। এর বাইরে পরিবহন ফি, হল ভাড়া, ইউনিয়ন ফি, পরীক্ষা ফি ও অন্যান্য খরচসহ দুই সেমিস্টারে একজন শিক্ষার্থীর খরচ হয় সাড়ে আট হাজার টাকা। তবে বিভাগভেদে এই খরচে কিছু্টা হেরফেরও হয়।

এদিকে ডিন অফিস সূত্রে সান্ধ্যকোর্সের খরচ সম্পর্কে জানা গেছে, মাস্টার্স সমমান সান্ধ্যকোর্সের একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি সেমিস্টারে ভর্তি বাবদ পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া প্রতি সেমিস্টারে চারটি কোর্স পড়তে তার খরচ পড়ে ৪২ হাজার টাকা। এর বাইরেও ল্যাব ফি বাবদ দিতে হয় আরও পাঁচ হাজার টাকা। এ হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুসঙ্গিক খরচ মিলিয়ে এক বছরে তিন সেমিস্টারে সান্ধ্যকোর্সের একজন শিক্ষার্থীর মোট খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী দুই বছরের সান্ধ্যকোর্স সম্পন্ন করতে একজন শিক্ষার্থীকে মোট ২২টি কোর্স ও ৬টি সেমিস্টারে গুনতে হয় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। কোনো কোনো বিভাগে এই খরচ আরও বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ আইন অনুষদের আইন বিভাগে সান্ধ্যকোর্স খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই বিভাগে সান্ধ্যকোর্স খোলার পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে গত বছরের ১০ আগস্ট এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন বিভাগে সান্ধ্যকোর্স খোলার অনুমতি দেয়।

সান্ধ্যকোর্স চালু করার যুক্তি হিসেবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, সান্ধ্যকোর্স খোলার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় কাজ করে। প্রথমত, সান্ধ্যকোর্স চালু করতে হলে সবার আগে বিভাগের শিক্ষকদের আগ্রহ থাকতে হবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদন চাইতে হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের বেতনই বা কত? অনেকেই আছেন যারা এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নেন। কিন্তু বিভাগেই যদি আয়ের পথ খোলা থাকে তাহলে প্রাইভেটে গিয়ে কী হবে?

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সান্ধ্যকোর্স চালুর কারণে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। শিক্ষকরা সান্ধ্যকোর্সে বেশি মনোযোগী থাকায় নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় কম দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন মনোভাবের কথা জানা গেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিয়মিত এক শিক্ষার্থী  বলেন, শিক্ষকরা হুটহাট ক্লাস প্রোসপন্ড করে দেন। অথচ ওই শিক্ষককেই দেখা যায় একই দিন সান্ধ্যকোর্সে ক্লাস নিচ্ছেন। এমন করার কারণ, যেখানে টাকা বেশি পাচ্ছেন সেদিকে শিক্ষকদের মনযোগটাও বেশি। এতে আল্টিমেটলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিয়মিত শিক্ষার্থীরা। ফলে দুই স্তরের শিক্ষার মান ঠিকঠাক রাখতে পারছেন না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের সান্ধ্যকোর্সের এক ছাত্রী  বলেন, ‘সান্ধ্যকোর্সে ভর্তির সময় নির্ধারিত ফি তো দিতেই হয় আবার প্রতি সেমিস্টারে কোনো না কোনো অজুহাতে বাড়তি টাকা গুণতে হয়। যেমন- আমাদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের অন্তর্ভুক্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে হয়। ইভেন্ট আয়োজনের টাকাসহ ভর্তির সময়ই টাকা নেয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও ক্লাস শুরু হলে ইভেন্ট আয়োজন বাবদ আবারও বিশাল অংকের টাকা আমাদের কাছ থেকে নেয় তারা। এর অর্থ একই ইস্যুতে অর্থ দেওয়া লাগে দু’বার। এমনিতেই সান্ধ্যকোর্সের বেতন ফিসহ অন্যান্য ফি অনেক বেশি। সেখানে এমন বাড়তি অর্থ আদায় করলে সেটা অমানবিক।

নিয়মানুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স থেকে আয়ের ৬০ শতাংশ টাকা পান সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে দেওয়া হয় ৩০ শতাংশ এবং বাকি ১০ শতাংশ পায় ডিন অফিস।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী আক্কাস একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বিভাগে সান্ধ্যকোর্স  চালু আছে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করে যদি কোর্স শেষ করা হয় তাহলে কোন সমস্যা নয়। কিন্তু যারা ভর্তি হয় তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসে যে কারণে ইংরেজিতে দূর্বল হওয়ার কারণে যথাযথ মান নিশ্চত করা সম্ভব হচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করা শর্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা খুব অল্প পরিমাণ টাকা দেয়। ৬০ শতাংশ টাকাই শিক্ষকরা নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা ব্যবহার করে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকার বাড়তি বেতন নিয়ে তারা পকেট ভারি করছেন। এছাড়া নিয়মিত শিক্ষার্থীরা যেখানে সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করতেন সান্ধ্যকোর্স চালুর পর এখন করে পাঁচ দিন।এর মানে তাদের শিখন কর্মঘণ্টা কমে গিয়েছে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সময়মতো হয় না, পরীক্ষার খাতা সময়মতো দেখা হয় না। অথচ সান্ধ্যকোর্সে শিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে বেড়াচ্ছেন। এগুলোর লাগাম টানা উচিত।

এব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের  অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, সান্ধ্যকালীয় কোর্স শিক্ষা মান নিশ্চিত করতে চাচ্ছে এখন। এ কোর্সের মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থী উন্নতি শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। যার মাধ্যমে কিছু মানুষের কর্মসংস্থার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোর্সের অধিকাংশ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকরা  বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়  ক্লাস নেই। সেটা না করে বিশ্ববিদ্যালয় সান্ধ্যকালীয় কোর্স ক্লাস নিবো।

এসব জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম একুশে টিভি অনলাইন বলেন, ব্যাংকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারের নামে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। শিক্ষার্থীরা ভর্তির অনুমোদন পাওয়ার পর প্রথমে ভর্তিসহ সব খরচের টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে টাকার পরিমাণ উল্লেখ রেখে ডিন অফিস ও বিভাগে তা ট্রান্সফার করা হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকা না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, সন্ধ্যাকালীন কোর্সের মাধ্যমে যারা পড়াশোনা শেষ করছে, তাদের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে কিনা এটা বলতে পারবো না। তবে এই কোর্স ঢাবির জন্য একটা বোঝা। আমাদের শিক্ষকদের অনেক কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এ কারণে যে কোর্সগুলো চালু আছে সেগুলোতে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে কোর্সগুলো আপাতত বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।

সান্ধ্যকোর্সে শিক্ষার মান নিয়ে কোনো আপস (কম্প্রোমাইজ) করা ঠিক নয় উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শিক্ষকদের আগ্রহ তো আছেই। তাছাড়া মান নিয়ে কথা বলতে হলে আমি বলবো, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- কারা পড়ছে এই সান্ধ্যকোর্সে। যারা দিনে পড়ার যোগ্যতা রাখে না তাদের টাকার বিনিময়ে সন্ধ্যায় পড়িয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, এটা ঠিক নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সান্ধ্যকোর্সের মান নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা ঠিক নয়।’

/ এআর /

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি