ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সামুদ্রিক উদ্ভিদ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চলছে প্রচেষ্টা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ১ নভেম্বর ২০১৭

পরিবেশবান্ধব জ্বালানি তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে চলছে নানা গবেষণা। এর মধ্যে  অ্যালজি বা সামুদ্রিক উদ্ভিদ থেকে জ্বালানি তৈরির চেষ্টা চলছে বেশি। জার্মানিতে এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চলছে অভিনব পরীক্ষা। বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্বও দিচ্ছে দেশটি।

জার্মানির হামবুর্গ শহরের একটি বাড়ির মধ্যে বায়ো-রিয়্যাক্টরে অ্যালজি বা সামুদ্রিক উদ্ভিদ চাষ হচ্ছে৷ চারিদিকে বুদবুদের স্পন্দন৷ অ্যালজি এমন বায়োমাস উৎপাদন করে, যা থেকে বায়োগ্যাস পাওয়া যায়৷ সেই জ্বালানি দিয়ে বাড়ির ৩০ জন বাসিন্দার জন্য শীতে ঘর গরম রাখা যায়৷

মার্টিন ক্যার্নার বিশ্বের প্রথম ‘অ্যালজি হাউস` উদ্যোগের অন্যতম উদ্যোক্তা৷ সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি রিয়্যাক্টরের দেওয়ালটিকে আরও উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছেন৷ সেইসঙ্গে বাড়ির সিস্টেমের সঙ্গে এই জ্বালানির সমন্বয় করতে হয়৷ পুরোটাই বাস্তব পরিস্থিতিতে এক পরীক্ষার মতো৷ মার্টিন বলেন, ‘‘গবেষণাকেন্দ্র হিসেবেও আমরা জায়গাটিকে কাজে লাগাচ্ছি৷ গবেষণা ও উন্নতির স্বার্থে আমরা সেরা বিষয়গুলি পরখ করে দেখছি৷ ছোট আকারে নয়, এখানে আমরা মনের সুখে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি।

মার্টিন ক্যার্নার অ্যালজি হাউস নিয়ে খুবই গর্বিত৷ ২০১৩ সালে নির্মাণের সময় থেকেই তিনি এই বাড়ির তত্ত্বাবধান করছেন৷ এই প্লান্ট শুধু উত্তাপ ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করে না৷ এক বিশেষ সিস্টেমের মাধ্যমে বর্জ্য পানি অপচয় না করে আবার কাজে লাগানো যায়৷

মার্টিন ক্যার্নার বলেন, ‘‘আমরা বাড়ির বর্জ্য পানি রিসাইকেল করি এবং সেই প্রক্রিয়ায় মিথেন গ্যাস উৎপাদন করি৷ পানি ও পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে আবার বায়ো রিয়্যাক্টরে কাজে লাগাতে পারি৷ বাড়ির মধ্যেই এক সার্কুলেশন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে৷ সেখানে বর্জ্য এবং উত্তাপ ও কাঁচামাল সৃষ্টির প্রক্রিয়া পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে৷``

হামবুর্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাকেন্দ্রে অ্যালজি রিয়্যাক্টরের প্রটোটাইপ রয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রযুক্তি ও জ্বালানি বিভাগের ক্যার্স্টিন কুচা অ্যালজি হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেন৷ ক্যার্স্টিন বলেন, ‘‘অত্যন্ত প্রাথমিক স্তরে অ্যালজি হাউস তৈরি করা ছিল এক সাহসী সিদ্ধান্ত৷ অ্যালজি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান ছিল, কাউকে না কাউকে বড় আকারে এই পদক্ষেপ নিতেই হতো৷ পরিস্থিতি অনুযায়ী অবশ্যই বেশ কিছু রদবদল করতে হয়েছে৷ তবে অগ্রসর হবার এটাই একমাত্র পথ ছিল৷``

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এম/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি