ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সারাদেশে শৈত প্রবাহ অব্যাহত, বেড়েছে দুর্ভোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৪, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ০০:০৪, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

সারাদেশে শৈত প্রবাহ অব্যাহত থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে গেল ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার কিছুটা উন্নতি হলেও হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা বেশির ভাগ অঞ্চল মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় দিনাজপুরে দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং পশ্চিমাঞ্চলের গোপালগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া আর দক্ষিণ-পশ্চিমের সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। পাশাপাশি উপাজর্ন ও শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্বিষহ দিন কাটছে ছিন্নমূল মানুষের।

যদিও গতকালের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে কনকনে ঠাণ্ডায় থমকে গেছে স্বাভাবিক জনজীবন। শীতে মানুষের পাশাপাশি কষ্টে আছে গবাদী পশুও। এদিকে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিত ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘর থেকে বের হতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। শীতবস্ত্রের পাশাপাশি এসব মানুষের খাদ্য সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রামে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ৫৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে শীতার্তদের মাঝে।

আবহাওযা অফিসের বার্তা অনুযায়ী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও বরিশাল, ময়মনসিংহের উত্তরাঞ্চল ও ঢাকা বিভাগের অংশ বিশেষ এবং শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলে ‘মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ’ বয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে চলমান শীতের প্রকোপ আরো একদিন ১০ জানুয়ারির মধ্যরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় লালমনিরহাটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। খড় কুটোয় আগুন ধরিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষ। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

ঠাকুরগাওয়ে শীতবস্ত্রের দোকানসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় গেছে ব্যাপকহারে। ইতোমধ্যে দুঃস্থ মানুষের মাঝে ৫০ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।

গাইবান্ধায় ঠাণ্ডাজনিত কারণে সোমবার বিকেলে মারা গেছেন ২জন। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া ও কোল্ড ডাইরিয়ার রোগীর সংখ্যাই বেশি।

মৌলভীবাজারের হাসপাতাল গুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগী বাড়ছে। সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গরম কাপড় সহায়তা চেয়েছেন স্থানীয়রা। রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিনের বেলাতেও সড়কে যানবাহন চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।

আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এতে বলা হয়, ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কিন্তু এই সময়ের পর সারাদেশে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিযাস বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল হিমালয় সংলগ্ন তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড সৃষ্টি হয়।

 

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি