ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সার্বিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে : পাউবো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ১৮ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৬, ১৯ আগস্ট ২০১৭

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে দেশের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুঞ্জিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা জানিয়েছে পাউবো। শুক্রবার পাউবো’র এক বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের ৫টি নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার হতে ১২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো বলছে, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। নদ-নদীর ৯০টি পয়েন্টের মধ্যে ৪৬টির পানি হ্রাস, ৪৩টির বৃদ্ধি ও ১টি নদীর পানি অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে দেশের ২৮টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা সমতলে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা বর্তমানে বিপদসীমার প্রায় ৫৬ থেকে ১২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি আগামী ৭২ ঘণ্টা এবং সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা সমতলে হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার অববাহিকার নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে, এতে এ অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে। মেঘনা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় উন্নতি অব্যাহত থাকবে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ব্রহ্মপুত্রের চিলমারি পয়েন্টের পানি ২৪ সেন্টিমিটার কমে বর্তমানে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টের পানি যথাক্রমে ১৯ সেন্টিমিটার; ২২ সেন্টিমিটার; ১৬ সেন্টিমিটার ও ১৪ সেন্টিমিটার কমে বর্তমানে বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার; ১০০ সেন্টিমিটার; ১৩৮ সেন্টিমিটার ও ১৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা এ দুই নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। যমুনা নদীর একমাত্র আরিচা পয়েন্টে পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি ভারতীয় অংশের আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ২১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বিভিন্ন পয়েন্টে আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে, তবে এই নদীর পানি বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় কমে আসছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিশেষ বুলেটিনে আরো জানানো হয়েছে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের উজানের ভারতীয় অংশে এবং মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত আছে।

 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুয়াখাওয়া, চিলমারী, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে হ্রাস অব্যাহত আছে।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি