ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সু চিকে দেওয়া সম্মাননা কেড়ে নিল যুক্তরাজ্যের সংগঠন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মাননা ফিরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ একটি ট্রেড ইউনিয়ন। খবর গার্ডিয়ানের।


মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের সময় গণতন্ত্রের পক্ষে প্রচারের পুরস্কার হিসেবে সু চিকে বেশ কিছু সম্মাননা দিয়েছিল যুক্তরাজ্যের কিছু প্রতিষ্ঠান। এখন তারা একযোগে সেগুলো পর্যালোচনা বা বাতিলের কথা ভাবছে। ঠিক সে সময়ে ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো।


এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা ও জাতিগত নির্মূলকরণের কারণে যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারে একসময়কার বিরোধী দলে থাকা সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিলের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।


ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে অব্যাহত উদ্বেগের সঙ্গে একাত্ম বিশ্ববিদ্যালয়টি।


যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন পুরস্কার বাতিলের পাশাপাশি এক ঘোষণায় বলেছে, সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক সদস্যপদও বাতিল করছে তারা। এ ছাড়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্দশা লাঘবে আরো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেয় সংগঠনটি।


ইউনিসনের প্রেসিডেন্ট মার্গারেট ম্যাককি গার্ডিয়ানকে বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা ভয়াবহ অবস্থায় আছে। অং সান সু চির সম্মানসূচক সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে এবং আমরা আশা করি, তিনি আন্তর্জাতিক চাপের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাবেন।


গত ত্রিশ বছরে গ্লাসগো, বাথ অ্যান্ড ক্যামব্রিজসহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন সু চি। অক্সফোর্ডের উপদেষ্টারা ঘোষণা করেছেন, তারা সু চিকে দেয়া ১৯৯৭ সালের দ্য ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব অক্সফোর্ড পুরস্কার পরবর্তী মাসের উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় পুনর্বিবেচনা করবেন। ১৯৯৩ সালে সু চিকে সম্মানিত ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছিল অক্সফোর্ড।


১৯৯১ সালে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা অর্জন করেন এবং নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি