ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

পেটে গজ রেখে সেলাই

সেই ভুয়া ডাক্তার কারাগারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৫, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

সন্তান প্রসবকালীন এক নারীর পেটে গজ রেখে অস্ত্রোপচার শেষ করা ভুয়া চিকিৎসক রাজন দাস ওরফে অরজুন চক্রবর্তীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পটুয়াখালী জেলার বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর ওই ডাক্তারের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন হাইকোর্ট।

গত মার্চে অস্ত্রোপচারের মধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মাকসুদা। এসময় তাঁর পেটে গজ রেখেই সেলাই কাজ শেষ করেন ওই চিকিৎসক। বিষয়টি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। গত ২২ জুলাই ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হলো গজ!’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লাহ আদালতের নজরে আনেন।

এরপর হাইকোর্ট এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেন। রুলে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধানসহ তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককেও হাজির হতে বলা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়,মাকসুদা বেগম (২৫) নামের ওই নারীর পেট থেকে অস্ত্রোপাচারের সাড়ে তিন মাস পর অস্ত্রোপাচার করে একটি গজ বের করা হয়েছে।  চিকিৎসকরা বলেন, দীর্ঘদিন পেটের ভেতর গজ থাকায় খাদ্যনালীতে অনেক ছিদ্র হয়ে গেছে। মাকসুদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওইদিন রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। মাকসুদা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী।

এমজে / এআর

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি