ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

`স্মৃতির মিনারে শায়েস্তাগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৭, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২০:১১, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

বিদ্যালয়টির শতবর্ষ উদযাপনে এসে ৪৭ বছর আগে ১৯৭০ সালে, পাকিস্তনের নির্বাচনের কথা খুব বেশি মনে পড়ে। আমাদের উলুকান্দি গ্রামের আঙিনায় সভা করে মিছিল যাচ্ছে বহরমপুর গ্রামে। আমি সেই মিছিলকারীদের সঙ্গে স্লোগান ধরেছিলাম।‘আমার ভাই তোমার ভাই, মানিক ভাই, শহীদ ভাই’। আর সেই বছরই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছিল আমার দ্বিতীয় শিক্ষাঙ্গন ‘শায়েস্তাগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়’এ যাত্রা। জাতীয় সঙ্গীতের কঠোর নিয়ম-নীতি, দিকনির্দেশনাপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করা হলো। সেই থেকে আজও হৃদয়ের মণিকোঠায় লালন ও ধারণ করে আছি আমার পরম শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় প্রধান শিক্ষক মরহুম আব্দুর নূর চৌধুরীর জীবনাদর্শ।

১৯৭০ সালে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হিসেবে প্রথমেই মনে পড়ে ধর্মীয় শিক্ষক শ্রদ্ধেয় রশিদ স্যারের কথা, স্যার ক্লাসে এলেই মাথায় টুপি, নইলে বেতের বাড়ি, আর এরই মধ্যে কেউ যদি বলছে, ‘স্যার, সে আজ নামাজে যায় নাই’, তাহলে আর উপায় নাই। তাই আজও পকেটে টুপি নিয়ে বেড়াই। তবে মজার ব্যাপার ছিল, পড়া শিখো নাই, নামাজে যাও নাই, মাথায় টুপি দেও নাই-সব মাফ হয়ে যেত ‘স্যার মাথা ব্যথা করে’ বললেই। স্যার আদর করে কাছে নিয়ে মাথায় ফুঁ দিয়ে দিতেন। স্যারের এই আদরের কথা মনে হয় কেউ ভুলতে পারবে না। সম্ভবত আমি ষষ্ঠ শ্রেণির ‘খ’ শাখায় ভর্তি হয়েছিলাম। সেই শ্রেণিকক্ষটি প্রধান শিক্ষক স্যারের কক্ষ বরাবর ছিল। মনে পড়ে, একদিন কোনো এক স্যার ক্লাস করিয়ে চলে গেছেন, আর আমি টেবিলের ওপর থাকা চকের টুকরো দিয়ে শ্রেণিকক্ষের দরজায় কিছু লিখছি, আর তখনই আমাদের সবার প্রিয় করিম হোসেন ভাই এসে বলল, হেড স্যার তোমাকে ডাকছেন, কী আর করা, আকাশ ভেঙে মাথায়। করিম হোসেন ভাই স্যারের সামনে রুমের ডান পাশে দাঁড় করিয়ে দিল, কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম জানি না। স্যার নিজের কাজে ব্যস্ত, আর আমি দাঁড়িয়ে ঘামছি আর কাঁপছি। ত্রাণকর্তা হিসেবে অতিশয় নম্র ও ভদ্র স্যার হিসেবে যাকে পরে চিনেছি, আমাদের শ্রদ্ধেয় সেই নিপেন্দ্র স্যার হাজির। তিনি এসে আমাকে দেখেই হেড স্যারকে বললেন, ‘ও কী করেছে, স্যার’? তখন হেড স্যার আমার দিকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে বলেছিলেন, ‘আর ইত্তা করবায় নি’? আমি বলেছিলাম, ‘না, স্যার’। সাথে সাথে নৃপেন্দ্র স্যার বলেছিলেন, আর এমন করবে না। সে যাত্রায় মুক্তি পেয়েছিলাম আর ভেবেছিলাম, আমার কোনো শাস্তি হয়নি। কিন্তু আমি যখন হেড স্যার হলাম, তখন বুঝলাম, হেড স্যারের কক্ষে কোনো ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে রাখা কত বড় শাস্তি। যাক সে কথা।

১৯৭১ সালে সপ্তম শ্রেণিতে উঠলাম। আর সংগ্রাম শুরু হলো। কত দিন ক্লাস চলেছিল মনে করতে পারছি না। তবে মনে হয়, মার্চ মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত হবে। এরই মধ্যে আবার দুষ্টুমি। শ্রদ্ধেয় সুরেশ বাবু স্যারের ক্লাস। স্যার ক্লাসে যাচ্ছেন আর আমি বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মাঠের মধ্যখানে দোলনায় দুলছি। সেদিকে আমার নজর নেই। বেশ কিছুক্ষণ পর ক্লাসের দিকে তাকিয়ে দেখি, ক্লাসে স্যার। দৌড়ে গেলাম। ঢোকা মাত্রই স্যার পড়া ধরলেন। আমি পারলাম না। আর তখনই স্যার অফিস থেকে বেত আনিয়ে কতটি বেত দিয়েছিলেন, মাথা থেকে পা পর্যন্ত, মনে নেই। তখন হয়তো কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু আজ মনে হয়, স্যারদের শাসন ছাত্রজীবনে কত প্রয়োজন।


যাক, মুক্তিযুদ্ধের বছর ১৯৭১ সাল পেরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ছাত্র হিসেবে যখন ১৯৭২ সালে আমরা স্কুলে গেলাম, তখন আমরা অটোপ্রমোশনে অষ্টম শ্রেণিতে উঠে গেছি, সবাই কত খুশি। সমগ্র স্কুলের সব শিক্ষার্থী আনন্দের বন্যায় ভাসছে। সবার বিনা পরীক্ষায় ওপরের ক্লাসে অটোপ্রমোশন। অষ্টম শ্রেণিতে এসে শ্রদ্ধেয় স্যারদের সঙ্গে পরিচিত হলাম। এর মধ্যে মালেক স্যার, আপিল উদ্দিন স্যার, মহেশ্বর স্যার, ওমর আলী স্যার, রহিম আলী স্যার, বেঁটে খালেক স্যার, জলিল স্যার, মোল্লা তাহের আলী স্যার, তাহের আলী স্যার, সৈয়দ স্যারদের নাম জানলাম, তাদের ক্লাস পেলাম। মালেক স্যারকে দেখলে মনে হতো হেভিওয়েট স্যার। যদিও স্যারের কিল খাইনি। তথাপি অনেককে বলতে শুনেছি, ‘মালেক স্যারের কিল বৈশাখ মাসের শিল।’ তবে আমরা যখন স্যারকে পেয়েছি, তখন তিনি বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে গেছেন। কিন্তু সৈয়দ স্যার ও ওমর আলী স্যার, যাদের হাতে কখনও বেত দেখিনি, তারা কথার মাধ্যমে শাসন করতেন। সৈয়দ স্যারের কথা শুনলে শরীরে জ্বর উঠে যেত। আর ওমর আলী স্যার সব সময় উপমা দিয়ে কথা বলতেন। এত উপমা স্যার কোথা থেকে জোগাড় করতেন, আল্লাহ জানেন।

মহেশ্বর স্যার পড়া না শিখলে ভীষণ রাগ করতেন। অনেক সময় ডাস্টার দিয়ে মাথায় আঘাত করতেন। কিন্তু কোনো দিন কারও কোনো স্যারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। তারপর ১৯৭৩ সালে যখন নবম শ্রেণিতে উঠলাম, বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়া আরম্ভ করলাম, তখন পরিচয় হলো সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্রদ্ধেয় খালেক স্যার, নৃপেন্দ্র স্যার, বিজ্ঞান বিভাগের ফরিদ স্যার, রঞ্জিত স্যার, সাইফুল ইসলাম স্যার ও শফিক স্যারের সঙ্গে। সহকারী প্রধান শিক্ষক খালেক স্যার ইংরেজি পড়াতেন, বানান উচ্চারণের সময় আমরা ওনার মুখের দিকে থাকিয়ে থাকতাম, কিভাবে উচ্চারণ করেন তা দেখার জন্য। এখনো মনে হয়, স্যারের উচ্চারণভঙ্গি শিখতে পারিনি। স্কুলজীবনের পুরোটাই মনে হয় স্যারকে দেখেছি, একটি হালকা হলুদ কেরোলিন শার্ট ও একটি ঘিয়ে রঙের প্যান্ট পরে আসতে। সম্ভবত তখন কেরলিন ও গ্যাবার্ডিন কাপড় বাজারে নতুন এসেছে। সম্ভবত এই রং স্যারের খুব প্রিয় ছিল। স্যারকে দেখলে মনে হতো একজন Man Of Principle। সত্যিই এ রকম স্যার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। একদম ব্যতিক্রমধর্মী। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা কোনো দিন স্যারের মুখ থেকে বের হতো না। মজার বিষয় ছিল, সুরেশ বাবু আর রশিদ স্যারকে আমরা প্রায়ই ভগবান আর আল্লাহ নিয়ে বাগবিতণ্ডা করতে দেখতাম। একজন আল্লাহর ক্ষমতা প্রদর্শন করতেন আরেকজন ভগবানের ক্ষমতা প্রদর্শন করতেন। কিন্তু কখনও ঝগড়ায় লিপ্ত হতেন না।


৯ম শ্রেণিতে প্রমোশন পাওয়ার পর এসব উপলব্ধি করতাম। কারণ আমরা তখন স্যারদের কমনরুমের পাশে বসতাম। সমগ্র স্কুলজীবনে যে বিষয়টি লক্ষ করেছি, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সম্মান ও স্নেহ প্রদর্শন। নিচের ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা ওপরের ক্লাসের দিকে কখনও যেত না, ঠিক তেমনিভাবে ওপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীরা কোনো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া নিচের ক্লাসে আসত না, যা বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোতে তেমনভাবে প্রযোজ্য নয়। ১৯৭৪ সালে দশম শ্রেণিতে ওঠার পর বুঝলাম, স্যারেরা ছাত্রদের প্রতি অনেকটা নমনীয় আচরণ করছেন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কিছুদিন পর চলে যাবে বলে মনে হয় স্যারেরা এমন আচরণ করতেন।

১৯৭৫ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা; কিন্তু দুর্ভাগ্য! সে বছর আমার ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়া হলো না। কারণ আমার বয়স তখনও ১৩ বছর পূর্ণ হয়নি। পরের বছর ম্যাট্রিক পাস করলাম। প্রধান শিক্ষক স্যার আমাকে আবুল ফারুক বলে ডাকতেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে যখন শায়েস্তাগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসায় বিএসসি শিক্ষক হিসেবে চাকরি নিলাম এবং সেখান থেকে বি-এড করলাম, তখন বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরির অফার আসে। কিন্তু আমার শ্রদ্ধেয় মাদরাসাপ্রধান আমাকে যেতে দেবেন না। সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তিনি এভাবে বলেছেন। কিন্তু আমার শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক মরহুম আব্দুন নূর চৌধুরী স্যার এই কমিটির একজন সদস্য হিসেবে সেদিন বলেছিলেন, ও সরকারি অর্থ ব্যয় করে বি-এড করেছে এবং এই সরকারেরই আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। অতএব, ওকে যেতে দেওয়া উচিত। স্যারের এই যুক্তির কারণে আমাকে ছাড়পত্র দিতে হয়েছে। মরহুম আব্দুন নূর চৌধুরী স্যার শুধু আমার প্রধান শিক্ষক নন, তিনি আমার অভিভাবক ও পথের দিশারী ছিলেন। সেদিন আমাকে বলেছিলেন। ফরুক, তুমি যে পদে যাচ্ছ, জেনে রাখো, সেটি খুবই স্পর্শকাতর একটি পদ। আমার উপদেশ রইল, কখনো দুনম্বরি করবে না, আর অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না। তাহলে যত ঝড়-তুফান আসুক, তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না।

আমি স্যারের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছি। সে কারণে মনে হয় আমার নূরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মরহুম কাজী শফিকুল ইসলাম আমার নিয়োগের প্রায় ১০ বছর পর আমেরিকা যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে সভায় বলেছিলেন, আপনি নিজেকে আমাদের সবার প্রধান শিক্ষক আব্দুন নূর চৌধুরী স্যারের মতো এই নূরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের আব্দুন নূর চৌধুরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন। আমি তাদের কথা রাখার চেষ্টা করেছি। জানি না কতটুকু পেরেছি তা এলাকাবাসী জানেন। ২২ বছর ছয় মাস প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে সপরিবারে আমেরিকায় বসবাস করছি। কিন্তু সব সময়ই স্যারদের কথা মনে হয়। আর প্রধান শিক্ষক স্যারের কথা কখনও ভুলার নয়, স্যার মাঝেমধ্যে অংকের ক্লাস নিতেন। তখন ক্লাসে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করত। স্যারকে দেখলেই ভয়ে শরীর শিউরে উঠত। স্যার যখন বারান্দা দিয়ে হাঁটতেন, তখন স্যারের চশমা নাকের ডগায় ঝুলত। আর স্যার চশমার ওপর দিয়ে তাকাতেন। তখন মনে হতো এই বুঝি আমাকে ডাকবেন। তাই ক্লাস ভিজিট করতে যখন বের হতেন, তখন বিদ্যালয়ে নিঝুম-নীরবতা বিরাজ করত। ছাত্র-শিক্ষক সবাই নীরব। ক্লাসে স্যারেরা ভয় দেখাতেন, প্রধান শিক্ষক স্যার আসতেছেন বলে।

আমার সহকারী শিক্ষকতার জীবনে তিনি ছিলেন আমার আলোকবর্তিকা ও প্রধান শিক্ষকতার জীবনে সরাসরি পথপ্রদর্শক ও পরামর্শদাতা ছিলেন। আমি দিনে-রাতে যখনই স্যারের কাছে গিয়েছি, শত ব্যস্ততা ও পরবর্তীতে অসুস্থতার মাঝেও আমাকে সময় দিয়েছেন। তাই বলতে দ্বিধা নেই যে ওনার জ্বালানো প্রদীপ বংশপরম্পরায় চলতেই থাকবে। নিভবে না কোনো দিন। ওনার শারীরিক মৃত্যু হতে পারে; কিন্তু আদর্শের মৃত্যু কখনও হতে পারে না। আল্লাহ অবশ্যই তাকে শান্তিতে রাখবেন। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, এ রকম মানুষ গড়ার কারিগরদের আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস দান করবেন। আমার দ্বিতীয় শিক্ষাঙ্গনে স্যার হিসেবে যাদের পেয়েছিলাম, তারা প্রত্যেকেই একেকজন আলোকবর্তিকা। তাদের এই মশাল এখন সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। তাই মহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মহান শিক্ষকদের কখনও মৃত্যু নেই। তাদের প্রজ্বালিত আলো যুগে যুগে জ্বলতেই থাকবে। আর জ্ঞান জ্যামিতিক হারে বাড়তেই থাকবে। তাই সমগ্র পৃথিবীতে অগণিত বিদ্বান ও বিদুষী ব্যক্তিত্ব স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখে শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাক্ষ্য বহন করে চলছেন। তাই সব শেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই কামনা করি, আমাদের শিক্ষাগুরুদের মধ্যে যারা ইন্তেকাল করেছেন, আল্লাহ যেন তাদের আত্মার মাগফেরাত নসিব করেন। আর যারা বেঁচে আছেন তাদেরও যেন নেক হায়াত দান করেন। আমিন!

লেখক: মো. আমির ফারুক তালুকদার
সাবেক প্রধান শিক্ষক,
নূরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,
শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
ঠিকানা : তালুকদার মহল
মহলুল সুনাম, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা, হবিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
৪০০৭, ৬৭ স্ট্রিট, অ্যাপার্টমেন্ট, ৩১ উডসাইড, নিউ ইয়র্ক, ১১৩৭৭, আমেরিকা।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি