ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

হাসপাতালে সেবা না পাওয়া অন্তঃসত্ত্বাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না কেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫২, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

ঢাকার তিন হাসপাতাল ঘুরে সেবা না পেয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসব এবং নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারীকে কেন উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ঘটনার খবর আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মাহমুদ উল্লাহ’র বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেছে। ওই নারীকে চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দোষীদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

স্বাস্থ্যসচিব, আইজিপি, সমাজকল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, আজিমপুর শিশু মাতৃসদনের সুপারিন্ডেন্ট, মাতৃসদনের চিকিৎসক নিলুফার, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও লালবাগ থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং আজিমপুর শিশু মাতৃসদনের সুপারকে ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আগামী ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছে আদালত।

উল্লেখ্য, প্রসব বেদনা ওঠার পর পারভিন আক্তার নামের এক নারী গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সবশেষ আজিমপুর শিশু মাতৃসদনে গিয়েও চিকিৎসা পাননি। পরে রাস্তার ওপরেই ওই নারী সন্তান প্রসব করেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই নবজাতকের মৃত্যু হয়।

পরে এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

আদালত আদেশে বলে, “পারভিন আক্তারের যথাযথ চিকিৎসা এবং তত্ত্বাবধানের অভাবে তার নবজাতকের মৃত্যু হয়। এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা আমাদের মত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সভ্যতার ওপর কালিমা লেপন। আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় গরিব জনগোষ্ঠী অত্যন্ত নিগৃহীত। তাদের চিকিৎসায় সরকার এবং সরকারের সেবা সংস্থাসমূহের অবহেলা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ফলে সরকার ও সেবা সংস্থাগুলোর সচেতন হওয়া আবশ্যক।”

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি