ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

হেডফোন ব্যবহারে মারাত্মক ৬ ক্ষতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৭, ১৭ জুন ২০১৮

প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই উন্নত হচ্ছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের দৈনন্দিন জীবন হয়ে উঠছে গতিময় ও আরামদায়ক। কিন্তু বিজ্ঞানের এই আশির্বাদই কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাসে ভ্রমণ, সবখানেই আমারা হেডফোন ব্যবহার করি। রাস্তায় বের হয়ে কানে হেডফোন গুঁজে গান শোণা এখন একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু হেডফোন হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যার বেশকিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হেডফোনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।

শ্রবণ জটিলতা

হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার ফলে সরাসরি অডিও মানুষের কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ যদি মানুষের কানে যায় তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে। শুধু তাই নয়, ১০০ ডেসিবলের উপর মাত্র ১৫ মিনিট এয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।

বাতাস প্রবেশে বাধা

এয়ারফোন ব্যবহার করার ফলে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরো বেশি হয়।

মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব

হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর যারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরো বেশি ঝুঁকিতে আছেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই হেডফোন সরাসরি আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।

কানে ব্যাথা

যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারনত এ সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওাজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষণ।

শ্রবণশক্তির জড়তা

সমীক্ষায় জানা যায়, যারা এয়ারফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে।

কানে ইনফেকশন বা প্রদাহ

এয়ারফোন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকি আমরা। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবণা থাকে। কারণ এয়ারফোনের মাধ্যমে একজনের কানের জীবাণু অন্যজনে বাহিত হয়।

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি