ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

‘২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৪, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২১:২২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছি। ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যশোরে নবনির্মিত শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কউদ্বোধনকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পার্কের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দেশের আইসিটি সেক্টরে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।

পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় একটি করে হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে আমাদের উৎপাদিত পণ্য ভবিষ্যতে আমাদের রপ্তানীতে সব থেকে বড় অবদান রাখবে। সরকার আশা করছে, ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাতের আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। জিডিপিতে সফটওয়্যার ও আইসিটি সেবাখাতের অবদান ৫ শতাংশে উন্নীত হবে।

অতীতের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, মানুষ তখন কম্পিউটার ব্যবহার করতেন না। কেউ কেউ শখ করে কম্পিউটার কিনলেও শোপিসের মতো সাজিয়ে রাখতেন। তিনিই ছাত্রলীগের হাতে কম্পিউটার তুলে দিয়ে পার্টির কাজে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেন। এর আগে ক্ষমতায় থাকা বিএনপি সরকার প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে খেয়াল করেনি। শুধু হাওয়া ভবন খুলে অনিয়ম-দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে সরকারের আসার পর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেসব পদক্ষেপ নেই, সেসবেরই একটা অংশ আজকের আইটি পার্ক। আর কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কও তৈরি হচ্ছে, সেটার কাজও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’

২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বমানের আইটি পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল যশোরের বেজপাড়া শংকরপুর এলাকায় দুই লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন। এ সময় গণভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে’র বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।

অন্যদিকে যশোরে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন যশোর-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম, যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ আসনের এমপি রণজিৎ কুমার রায়, যশোর-৫ আসনের এমপি স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ার হোসেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মাধ্যমে ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এতে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধাসহ রয়েছে ১৫ তলা বিশিষ্ট মাল্টিটেন্যান্ট বিল্ডিং, আন্তর্জাতিক থ্রি-স্টার মানের আবাসন ও ১২ তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি বিল্ডিং, একটি ক্যান্টিন ও অ্যাম্ফিথিয়েটার, ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব-স্টেশন, ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট লাইন প্রভৃতি।

 

/ডিডি/ এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি