ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

২৯ তম সম্মেলন ঘিরে ছাত্রলীগে নানা প্রস্তুতি

প্রকাশিত : ১৮:২৩, ২১ এপ্রিল ২০১৮

বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১১ ও ১২ মে হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন। এই সম্মেলন সফল করার জন্য সংগঠনের ভেতরে চলছে নানান প্রস্তুতি অন্যদিকে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে দৌড়ঝাঁপ। দেশের সবচেয়ে পুরোনো ছাত্র এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেতে নানা বলয়ে লবিং চলছে পুরোদমে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠনটি ইতিহাসের সব আন্দোলন সংগ্রামের সক্রিয় অংশীদার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি এখনো পর্যন্ত আটাশটি সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। সেই হিসেবে এবারের সম্মেলনটি হবে ছাত্রলীগের ঊনত্রিশতম সম্মেলন।

এবারো ছাত্রলীগের সম্মেলনটি দু`দিনব্যাপী হওয়ার কথা রয়েছে। দু`দিনের এ সম্মেলন সফল করার জন্য নানা ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। প্রস্তুতির মধ্যে নানা ধরণের উপকমিটি গঠন অন্যতম। উপকমিটিগুলো সম্মেলনের নানা দিক নিয়ে কাজ করবে।

বরাবরের মতো এবারও সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা অংশ নেবেন সম্মেলনে। তবে কতজন ডেলিগেট এবারে অংশ নিচ্ছেন সেটা এখনো নির্ধারিত হয়নি বলে জানালেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আরিফুর রহমান লিমন। তবে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা থেকে পঁচিশ জন ও বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সবাই কাউন্সিলর হবেন বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব উপ কমিটি প্রকাশ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আরিফুর রহমান লিমনকে। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাকিব হোসেন সুইম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশেদ উদ্দিন সুজন। এছাড়া আলাদা ভাবে ১৫ টি উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঊনত্রিশতম সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি কাজী এনায়েতকে।  এছাড়া যুগ্ম সাধারন সম্পাদক চন্দ্র শেখর মন্ডল, দিদার মো. নিজামুল ইসলাম, নওশেদ উদ্দিন সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন ও বিএমএহতেশাম কে যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রলীগ সহ সভাপতি ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী অভ্যর্থনা উপকমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। শৃংখলা উপকমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এরশাদুর রহমান চৌধুরী। মঞ্চ উপকমিটির আহবায়ক মাকসুদ রানা মিঠু। সাজসজ্জা উপকমিটিতে আনোয়ার হোসেন আনু, প্রচার উপকমিটিতে জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তরে অহিদুর রহমান জয়, প্রকাশনায় আল আমিন, সাংস্কৃতিকে এম আমিনুল ইসলাম, যোগাযোগে মাকসুদুর রহমান, চিকিৎসায় ডা. তোফাজ্জেল হক চয়নকে আহবায়ক করা হয়েছে। গঠণতন্ত্র সংশোধন ও ঘোষণাপত্র উপ কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে সৈয়দ আশিক। আন্তর্জাতিক, তথ্য প্রযুক্তি, অর্থ, আপ্যায়ন উপ কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন যথাক্রমে আদিত্য নন্দী, মেহেদী হাসান রনি, শাহাদাত হোসেন রাজন ও মশিউর রহমান শরীফ।

সম্মেলনের স্থান এখনো নির্ধারিত না হলেও প্রতিবারের মতো এবারো ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কাজী এনায়েত একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য থেকে ফিরলে আমরা তার সঙ্গে দেখা করে স্থান নির্ধারণসহ অন্য সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। নেতৃত্ব নির্ধারণে ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী এনায়েত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে।

সম্মেলন প্রস্তুতির বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুন্দর সম্মেলন উপহার দেওয়া আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। কারা আসছেন আগামীর নেতৃত্বে এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও ত্যাগী, পরিশ্রমী, সাধারণ ছাত্রদের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন ছাত্ররাই আগামীতে নেতৃত্বে আসছে বলে দাবি করলেন তিনি।
/এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি