ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন

৫ দফা বাস্তবায়নের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৬, ২২ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকটের অবসানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সেই প্রস্তাব যাতে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সমর্থন চেয়েছেন শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘের মহাসচিব শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করলে তিনি এই আহ্বান জানান।

তারা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

গত ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের রক্ষায় ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।

প্রস্তাবগুলো হলো : অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও `জাতিগত নিধন` নিঃশর্তে বন্ধ করা; অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা; জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা; রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

ইহসানুল করিম জানান, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতে ফোন করায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগিতা চেয়েছেন এবং সংকটের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তৎপর থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বল প্রয়োগ করে বিতাড়িত করা রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে ইতিমধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করেছে।

গুতেরেসকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি খুব ভালোভাবে জানেন যে, সমস্যার মূল মিয়ানমারে এবং সেখানেই এই সংকটের সমাধান পাওয়া যাবে।’

রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে (গুতেরেস) অবহিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই নিউ ইয়র্ক সফর করবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

‘রোহিঙ্গা সংকটের একটি সমাধান খুঁজতে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও মিয়ানমারে পাঠাচ্ছি,’ জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের স্রোত এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং মিয়ানমারে তাদের প্রতি সহিংসতা এখনও বন্ধ হয়নি।

‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ইতোমধ্যে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে, যাতে সব মিলিয়ে তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখে,’ বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও এদেশের জনগণ জাতিসংঘের সব সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে সংকট মোকাবেলা করছে।

বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে আইওএম, ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি, ডব্লিউএইচও, এফএও, ইউএন ওমেন, ইউএনডিপি ও অন্যান্য জাতিসংঘ সংস্থা তাদের জরুরি মানবিক সহায়তা দিচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

এসএ / এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি