ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে জিরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৭, ৯ নভেম্বর ২০১৯

গুণসম্পন্ন মশলার মধ্যে জিরা অন্যতম। এশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপেও বিশেষ করে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের রান্নাতেও জিরা দেওয়া হয়। তবে কয়েক হাজার বছর আগে প্রাচীন পারস্য, ব্যাবিলন এবং মিশরীয় সভ্যতায় জিরা খাওয়ার প্রচলন ছিল। শুধু রান্নাতেই নয়, এই জিরা অনেক রোগ থেকে দেয় সুরক্ষা। এজন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহুকাল থেকে। 

জিরার দানা প্রাকৃতিকভাবে লোহার উৎস। এক চামচ জিরারগুঁড়ায় আছে ১.৪ মিলিগ্রাম লোহা বা আয়রন। আধুনিক গবেষণা বলছে, শরীরের
ক্ষতিকারক ট্রাইগ্লিসারইড নিয়ন্ত্রিত থাকে জিরার প্রভাবে। বহুদিন ধরেই জিরা ব্যবহার হয়ে আসছে হজমের সহায়ক হিসেবে। জিরার প্রভাবে
বাড়ে হজমে সহায়ক উৎসেচকের ক্ষরণ। ফলে হজমের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। তাছাড়া জিরার জন্য যকৃৎ বা লিভার থেকে পিত্ত বা বাইল ক্ষরণ বাড়ে। এই পিত্তও সাহায্য করে পরিপাক ক্রিয়ায়।

সরাসরি জিরা সেবনের পাশাপাশি জিরা ভেজানো পানির উপযোগিতার কথাও বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। রাতে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন
অর্ধেক চামচ জিরা। সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন। অনেকে গোটা জিরা ফুটিয়েও মিশ্রণ বানান। তারপর ওই উষ্ণ পানি পান করুন। জিরা মিশ্রিত পানি পান করার গুণাগুণ অনেক। আসুন দেখে নেই এই মিশ্রণ পান করার ভাল দিক কী কী...

• হজম প্রক্রিয়া এবং পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক

• বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

• অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়ায় এই জিরা পানি।

• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

• ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী।

• নিয়্ন্ত্রণে রাখে উচ্চরক্তচাপ।

• ভাল রাখে লিভারের স্বাস্থ্য।

• রক্তাল্পতা দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

• চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।

• বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং ব্রণ দূর করে ত্বকের চাকচিক্য ধরে রাখে জিরা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি