ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

উচ্চ পদে নারীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ৮ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৪৮, ৮ মার্চ ২০১৯

এক সময় নারী থাকতো ঘরের মধ্যে আবন্ধ। এখন সেই দিন পরিবর্তন হয়েছে। নারী তার নিজের মেধা-যোগ্যতা দিয়ে স্থান করে নিচ্ছে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে। ব্যবসা কিনা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠার উচ্চে পদে নারীর সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে। নিজেদের পৃথিবী নিজেরা সাজিয়ে নিচ্ছি নিজেদের মতো করে।

পরিবার কর্মক্ষেত্রে, সমাজে সর্বত্রই নারী সাফল্য পেতে নেমেছে চ্যালেঞ্জ নিয়ে। সংসার-সন্তান সামলে কর্মক্ষেত্রকেও সমান গুরুত্ব পাচ্ছে নারীরা। দায়িত্ব পালন করছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সমীক্ষা অনুযায়ী কর্মজীবী পুরুষের তুলনায় কর্মজীবী নারী কাজ করেন তিনগুণ। দেশের অভ্যন্তরে অর্থনীতির মূল কর্মক্ষেত্রগুলোতে নারীর অবদান ক্রমাগত বাড়ছে। সমীক্ষা অনুসারে, মূলধারার অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃত উত্পাদন খাতের মোট কর্মীর প্রায় অর্ধেকই এখন নারী।

উচ্চশিক্ষিত হয়ে বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, চিকিত্সক, স্থপতি, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যাংকার, নির্মাতা থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মী পদেও পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন নারী। সংখ্যায় নগণ্য হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী ও উচ্চপদেও দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তবে নারী কর্মীদের সিংহভাগই শ্রমজীবী। এক গবেষণায় দেখা যায়, কর্মজীবী নারীদের অর্ধেকের বেশি কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কলকারখানায় পুরুষের চেয়ে নারী শ্রমিক বেশি। তবে শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে এখনও তারা পিছিয়ে রয়েছেন।

কৃষি, শিল্প, সেবা খাতসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়লেও জাতীয়ভাবে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। কায়িক শ্রমে নারীদের অংশ নেওয়ার হার অব্যাহত রয়েছে। বসতবাড়িতে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন, উত্পাদন, গোয়ালঘর নির্মাণ, পরিষ্কার, এদের খাওয়ানো ও পরিচর্যাসহ গবাদিপশু সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণের হার শতকরা ৪৪ থেকে ৮৫ শতাংশ। যেখানে পুরুষের অংশগ্রহণ সর্্বোচ্চ ৫০ শতাংশ মাত্র।

শুধু এখানেই শেষ না একই চিত্র দেখা গেছে অ্যাকশন এইডের প্রকাশিক গবেষণা প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে লক্ষ করা গেছে, বাংলাদেশের নারীরা তাদের প্রতিদিনের কাজের অন্তত ৪০ শতাংশ পরিবার ও স্বজনের পেছনে ব্যয় করেন।

কিন্তু তারা এ ৪০ শতাংশ কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। বিবিএসের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মজীবী একজন পুরুষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থের বিনিময়ে ৬ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট কাজ করেন। নারীরা ৫ ঘণ্টা ১২ মিনিট কাজ করেন। জিডিপিতে নারীদের রান্নাবান্না, সন্তান লালন-পালনসহ গৃহস্থালির কাজকর্মের স্বীকৃতি নেই। এই শ্রমের আর্থিক মূল্যমানও নির্ধারণ করা হয় না। ফলে অর্থনীতিতে নারীর এ কাজের অবদান আড়ালেই থাকছে।

এইতো কিছু দিন আগেইও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল সীমিত। কিন্তু সামপ্রতিক বছরগুলোতে রাজনীতিতে নারীর ক্রমবর্ধমান সাফল্য নিয়ে তর্ক করার আর কোনো অবকাশ নেই। দেশের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বাইরে বিরোধী দলীয় নেত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার ছাড়াও সরাসরি নির্বাচিত ও সংরক্ষিত আসনের অনেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সচিব নারী। সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আবার তাদের কাজের স্বীকৃতিতে পুরস্কৃতও হয়েছেন। নারীদের কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের জোয়ার বইছে ঘরে-বাইরে সর্বত্র।

এসব কারণেই নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল হিসাবে সমাদৃত এবং প্রশংসিত হচ্ছে। অনুরূপ পুলিশ প্রশাসনে থানার ওসি, এএসপি, এসপি, ডিআইজি, অতিরিক্ত আইজিপি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার পর্যায়েও কর্মরত আছেন বহু নারী। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকও নারী। স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবিসহ সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। ক্রীড়াঙ্গনে একের পর এক সাফল্যের জোয়ার বয়ে আনছে বাংলাদেশের মেয়েরা। অর্থাত্ ভূমি থেকে মহাকাশ, আকাশ থেকে শুরু করে এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায় বিজয়ের পদচিহ্ন এঁকে চলেছেন বাংলাদেশের অদম্য এবং আলোকিত নারীরা। দেশের রাজনীতি, প্রশাসনে, সংসদে, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য আর অগ্রযাত্রায় বিশ্বকে জয় করে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের অপরাজিতারা।

পুলিশের উচ্চ পদে বাড়ছে নারী,

স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে প্রথম আট নারী কনস্টেবল নিয়োগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তবে তারা কাজ করতেন সাদা পোশাকে। এরপর পুলিশি পোশাকে নারী সদস্যদের নিয়োগ শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। সে সময় মাত্র ১১ নারী সদস্য নিয়োগের মাধ্যমে যে পথচলা শুরু সে সংখ্যাটা আজ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি ২০১৯ এর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত মোট নারীর সংখ্যা ১৩ হাজার ১৭৭ জন। যা পুলিশের মোট জনবলের শতকার ৬.৯৬৫ শতাংশ। কর্মরত নারী ও পুরুষের সংখ্যার অনুপাত প্রায় ১:১৩। পুলিশ সদর দফতরের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে অর্থাৎ বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত প্রথম শ্রেণির নারী কর্মকর্তা রয়েছেন ২৭৪ জন। এদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি একজন, অতিরিক্ত ডিআইজি চারজন, পুলিশ সুপার ৭২, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ১০১ এবং সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন ৯৬ জন।

প্রশাসনের উচ্চপদে ৫৩৫ নারী

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে প্রশাসনের শীর্ষপদ সচিব ও সমপর্যায়ের ৭৭ জনের মধ্যে নারী রয়েছেন আটজন। ৪৪৪ জন অতিরিক্ত সচিবের মধ্যে নারী ৮২ জন, ৭৩৮ জন যুগ্ম সচিবের মধ্যে নারী ৮৭ জন, এক হাজার ৮০২ জন উপসচিবের মধ্যে নারী ৩৬৮ জন, এক হাজার ৩০৫ জন সিনিয়র সহকারী সচিবের মধ্যে নারী ৩৬৮ জন ও এক হাজার ৫১৪ জন সহকারী সচিবের মধ্যে নারী ৪৯৩ জন। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে মাঠপর্যায়ে এখন আটজন বিভাগীয় কমিশনার ও ১৭ জন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। ১১ জন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের মধ্যে কোনো নারী না থাকলেও স্থানীয় সরকার বিভাগের ৫২ জন উপপরিচালকের ১২ জন, ডেপুটি কমিশনার (জেলা প্রশাসক) পদের ৬৪ জনের মধ্যে ৯ জন, অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের ২০২ জনের মধ্যে ২৪ জন, ৪৪ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে চারজন, ৬৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের মধ্যে ২৫ জন, ২৯৮ জন এসিল্যান্ডের (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-ল্যান্ড) মধ্যে ১১১ জন, ১০ জন ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন অফিসারের দুজন, ছয়জন আরডিসির (রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর) পাঁচজন, ৪৭০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে ১২২ জন, ২৬ সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের মধ্যে ১৫ জন, ১৮ জেলা পরিষদের সচিবের মধ্যে চারজন, ৩৬ ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে ১২ জন এবং ১৭০ ভারপ্রাপ্ত এসিল্যান্ডের মধ্যে ৫৯ জন নারী দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা যায়, ১৯৮৬ সালে প্রথম সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে ফাতেমা বেগমের যোগদানের মাধ্যমে পুলিশে উচ্চ পর্যায়ে (বিসিএস) নারীদের নিয়োগ শুরু হয়। বর্তমানে পুলিশে উচ্চ পর্যায়ে (বিসিএস) কর্মরত নারীর সংখ্যা মোট বিসিএস কর্মকর্তার দশ শতাংশের বেশি। এতে নারী ও পুরুষের সংখ্যার অনুপাত ১:১০।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সালে ১৮ তম বিসিএসে আটজন নারী সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে নারীদের প্রবেশাধিকার আরও উন্মুক্ত হয়। সংখ্যার সঙ্গে বাড়তে থাকে নারী পুলিশের সুনাম আর সাফল্য।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এএসপি সুদীপ্ত সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে নারী পুলিশের কাজের ক্ষেত্র যেমন প্রসারিত হয়েছে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলা নারী পুলিশের সফলতা এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরেও।

তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন নারী পুলিশ মানেই ছিল শুধু দাফতরিক দায়িত্ব পালন। কিন্তু এখন অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন নারী সদস্যরা। নিরাপত্তার পাশাপাশি টেকসই পুলিশি ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্থানীয় তদন্তকারীদের উৎসাহিত করতে সহায়তা, অপরাধ ও মানুষের ঝুঁকি প্রশমনের পাশাপাশি শত্রুর মোকাবেলায়ও নারী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।


পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে নারী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করলেও আগে ট্রাফিক সার্জেন্ট পদে দেখা যায়নি। ২০১৭ সালে ২৮ নারী সার্জেন্ট পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজপথে কাজ শুরু করেন নারী পুলিশ সদস্যরা।

বর্তমানে শুধু ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগে কাজ করছেন ১৭৬ নারী সদস্য। এছাড়া সিএমপিতে ২০, আরএমপিতে ছয়, এসএমপিতে ৯, কেএমপিতে আট, বিএমপিতে দুই, আরএমপি ও জিএমপিতে একজন করে নিয়োজিত রয়েছেন।

নারী পুলিশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, নেতৃত্ব ও দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ২০০৮ সালে চালু করা হয়েছে ‘উইমেন পুলিশ নেটওয়ার্ক। ২০১২ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী পুলিশের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ওই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নারী পুলিশের ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে।

১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় আট হাজার পুলিশ অংশ নিয়েছেন। চলতি বছরের সর্বশেষ তথ্যমতে ১২৭ নারী পুলিশ সদস্য জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্তমানে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন রউশন আরা বেগম। অন্যদিকে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) আমেনা বেগম এবং র‌্যাব-৮ এর সিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম।

পুলিশে নারীর অগ্রগতি সম্পর্কে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) আমেনা বেগম  বলেন, ‘পুলিশ নারীবান্ধব নয় এটা বলবো না। নারীবান্ধব বিষয়টি অন্যরকম। তবে নারীর প্রতি পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। যেটা পুলিশে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিবর্তন এসেছে। আর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নেবার পর থেকে পুলিশে নারীর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে সম্মান, মর্যাদা ও মেধার প্রতিফলন।

আগামীতে পুলিশে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ নারী বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী ছয় মাস পর পর পুলিশের সব ক্ষেত্রে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিসহ যে জায়গাগুলোতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, সেখানে জেন্ডার ব্যালান্স, জেন্ডার অ্যাওয়ারনেস বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুলিশে নারীর অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোই শুধু না, পুরুষ সদস্যদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে সহযোগী করে তোলা হচ্ছে।

র‌্যাব-৮ অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম বলেন, মাঠ পর্যায়ে পুলিশের নারী সদস্য বাড়ানো গেলে কার্যকারিতা আরও বাড়বে। মানুষ পুলিশি সেবা আরও বেশি পাবে। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে পুরুষের চেয়ে নারী সদস্যরা বেশি হ্যান্ডেল করতে পারবে। সিটিজেনরা এ ক্ষেত্রে উপকৃত হবে। আর দৃষ্টিভঙ্গির বিষয় তো আছেই। তবে সবখানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সামনে আরও হবে।

নিজের আলোয় উদ্ভাসিত ৭ বিচারপতি

নিজেদের মেধা, প্রজ্ঞা দিয়ে তাঁরা বিচারাঙ্গনের মতো কঠিন জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সাত নারী বিচারপতি।

তাঁদের মধ্যে বিচারপতি জিনাত আরা আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি ছয়জন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি। তাঁরা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা এখন ৯৯ জন। হাইকোর্ট বিভাগে দায়িত্ব পালন করা নারী বিচারপতিদের মধ্যে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ছাড়া বাকিরা পাঁচজন স্ব স্ব বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি। এর মধ্যে বিচারপতি কাশেফা হোসেন একক বেঞ্চে আছেন। আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা ৪০ বছর ধরে বিচার বিভাগে রয়েছেন। আর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী হাইকোর্ট বিভাগের ৯২ জন বিচারপতির মধ্যে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

 

 টিআর/

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি