ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কলম্বিয়ায় সমুদ্রের তলায় চাষ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৫, ২৩ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১২:২৪, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

মনের সুখে চাষবাস করছেন এক ব্যক্তি। তবে মুখে রয়েছে অক্সিজেন মাস্ক। কেন বলুন তো? আসলে সমুদ্রের গভীরে চলছে এই ‘কৃষিকাজ’। জমিতে প্রবাল বুনছেন তিনি। কোরাল রিফের গুরুত্ব বুঝেই কলম্বিয়ায় সমুদ্রের তলায় এই বিশেষ সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সামুদ্রিক মাছের একটা বড় অংশ বাঁচে প্রবাল প্রাচীরের প্রবাল অর্থাৎ কোরালের উপর নির্ভর করে। সেখানে জন্মানো নানা ছোট প্রাণী বা গাছ থেকেই পুষ্টি সংগ্রহ করে মাছ।

ক্যারিবিয়ান সাগরে জাভিয়ের বেকার নামে এক ব্যক্তি কলম্বিয়া সান আন্দ্রেজ এই প্রবাল বোনার কাজ শুরু করেন, সংরক্ষণ করছেন প্রবাল দ্বীপ। সঙ্গে রয়েছেন আরও অনেকে। যারা কাজ করছেন এখানে।

একটা সুস্থ প্রবাল কিন্তু প্রকৃতির কাছে একটা সামু্দ্রিক মাছের চেয়ে বেশি জরুরি। কারণ বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই প্রবাল প্রাচীরের।

অতিরিক্ত মাছ ধরা, দূষণ ও পর্যটকদের দৌরাত্ম্যে প্রবালের অস্তিত্ব বিপন্ন। তাই একাধিক মৎস্যজীবী পরিবার যোগ দিয়েছে এই প্রবাল বোনার কাজে।

সামুদ্রিক জমিতে কোরাল ফার্মিংয়ের জন্য প্রতি মাসে কলম্বিয়ার সান আন্দ্রেজ ও প্রভিদেনশিয়ার ৪০ জন মৎস্যজীবী এগিয়ে এসেছেন।

প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা (১২৫ ডলার) পান তারা ‘আন্ডার সি গার্ডেনিং’ প্রকল্পে কাজের জন্য।

প্রথম ধাপের প্রবালগুলো সমুদ্রে রাখা হয়েছে। বেঁচেও গেছে তারা। এই আর্কিপেলাগো কলম্বিয়ার ৮০ শতাংশ প্রবালের বাসস্থান। ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প এটি।

গত বছরে প্রায় ১০ হাজার প্রবালের টুকরো নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে ভাসমান নার্সারিতে সংরক্ষণের কাজ হয়েছিল।

প্রকল্পে যুক্ত ব্যক্তিদের ধারণা, ধীরে ধীরে প্রায় ১৫০ একর এলাকাজুড়ে এই নতুন প্রবাল কলোনি গড়ে উঠবে।

সি-ফ্লাওয়ার বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ নাম দেওয়া হয়েছে এই সংরক্ষিত এলাকাটিকে। ইউনেসকো এটিকে ২০০০ সালে সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করেছে।

তবে শুধু প্রবালই নয়, সমুদ্রের তলার আবর্জনায় আটকে থাকা মাছ, কচ্ছপ কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রাণীকে রক্ষাও করে এই দলটি।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি