ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

গোসলের ভুলেও বাড়ে ত্বকের সমস্যা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সময় নেই বলে অনেকে তাড়াহুড়ার মধ্যে সারেন গোসল, যাতে থাকে না কোন যত্ন। এরকম তড়িঘড়ি গোসল করলে যেমন তৈলাক্ত ত্বকের ঘাম-ময়লা পরিষ্কার হয় না, তেমনি জীবাণু বেড়ে সূত্রপাত ঘটাতে পারে চর্মরোগের৷ তাই মূল যত্নটুকু বাদ দিয়ে শুধুই জীবাণুনাশক সাবান মেখে গোসল করলে বিপদ আরও বাড়ে।

আবার রুক্ষ ত্বক নিয়ে বার বার গোসল করলেও হয় সমস্যা৷ গায়ের জোরে ঘষে ঘষে ময়লা, জীবাণু দূর করলেও বাড়ে সমস্যা৷ কারণ অপকারীদের সঙ্গে কিছু উপকারী জীবাণু ধুয়ে গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে৷ খুব রগড়ে গোসল করলে গায়ে যে সূক্ষ্ম আঁচড় পড়ে, জীবাণু সেই ছিদ্রপথে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে৷ বেশি ঘষাঘষিতেও ত্বকে পড়ে অকাল বলিরেখা।

শরীরকে যে ভাবেই পরিষ্কার করুন না কেন, গোসলের কিছু নিয়ম-কানুন না মানলে সমস্যা কিন্তু বাড়বেই। এবার ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে গোসলের নিয়ম-কানুন জেনে নিন :

* বেশি গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক ও চুল শুকিয়ে যায়৷ কম বয়সে বলিরেখাও পড়তে পারে৷ কাজেই উষ্ণ পানিতে গোসল করুন৷ হালকা গরমে রক্তসঞ্চালন ভাল হবে৷ তরতাজা লাগবে৷

* যে পানিতে সহজে সাবানের ফেনা হয় না, তাকে বলে খর-পানি। এরকম পানিতে গোসল করলে চুল লালচে, নির্জীব হয়ে যেতে পারে৷ ত্বকে আসতে পারে কালচে ভাব৷ সে ক্ষেত্রে পানিতে বাথ সল্ট মেশান৷ তাতে পানি মৃদু হবে, ত্বকও পরিষ্কার হয়ে ত্বকের আর্দ্রতা থাকবে ঠিকঠাক৷ তবে নিয়মিত ব্যবহারে স্পর্শকাতর ত্বকে লাল ছোপ পড়তে পারে এবং ত্বক রুক্ষ হয়ে ফেটে যেতে পারে৷ তাই বাথ সল্ট বা বাথ অয়েল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* স্পর্শকাতর ত্বকে রং ও গন্ধওয়ালা সাবানে সমস্যা হতে পারে। বেবি সোপেও অনেক সময় হয়৷ সে ক্ষেত্রে মাখুন গ্লিসারিন সাবান বা সোপ ফ্রি সোপ। তরল সাবানে অ্যালার্জি হলে সেটাফিল ক্লিনজিং লোশন বা অ্যাকোয়াডার্ম লিকুইড সোপ মেখে দেখুন৷ শাওয়ার জেলের মধ্যে সোপ ফ্রি জেল মোটামুটি নিরাপদ।

* ঘামাচি, ঘামের গন্ধ বা ত্বকের সমস্যায় দিন কয়েক মেডিকেটেড সোপ মাখতে পারেন৷ নিয়মিত মাখলে অ্যালার্জি বাড়তে পারে৷ ব্রণ হলে জীবাণুনাশক সাবানে বার বার মুখ ধুলে ব্রণ কমার বদলে বাড়ে। অন্য চামড়ার রোগেও সাবান কম মাখা ভাল।

* দিনে দু’বারের বেশি সাবান মাখবেন না৷ হালকা করে ঘষে মাখুন৷ তাতে ময়লা, তেল, কালির সঙ্গে মরা কোষ দূর হয়ে ত্বক হবে উজ্জ্বল।

* ফোম বাথের শখ হলে সোডিয়াম লরিল সালফেট রাসায়নিকের দু’-এক ছিপি দিয়ে বাথটবে পানি ভরুন৷ তাতে শরীর ডোবালে তেল, কালি, জীবাণু যেমন ধুয়ে যাবে। তেমনি দূর হবে স্ট্রেস৷ এর পর পরিষ্কার পানিতে গা ধুয়ে নিন।

* তৈলাক্ত ত্বকে তেল দরকার নেই৷ শুষ্ক বা সাধারণ ত্বক হলে শীতকালে লাগবে তেলের ছোঁয়া৷ তবে আবহাওয়া উষ্ণ ও বায়ুতে আর্দ্রতা বেশি হলে তেল মাখার কারণে ঘামাচি বা ফোড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই তেল লাগান গোসলের পর৷ ত্বক বহুক্ষণ সজীব থাকবে এতে৷ মালিশের সময় না থাকলে গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন তেল৷ তারপর নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে নিলেই হবে।

* স্পর্শকাতর ত্বকে গন্ধহীন নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখুন৷ ভিটামিন মেশানো বা ওষধি তেল মেখে কোন লাভ নেই৷ তেল মেখে রোদে বসে থাকলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে৷ এ থেকে দেখা দিতে পারে অকাল বলিরেখারও। তাই এই বিষয়টি এড়িয়ে চলুন।

গোসলের সময় এই কয়টা বিষয় মাথায় রাখলেই শরীর পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের সমস্যাও মিটবে, জীবাণুর হানা রুখে দেওয়া আরও সহজ হবে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি