ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গড় আয়ুতে গরিবরা পিছিয়ে ১৯ বছর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২২, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বিশ্বে ধনী আর গরিবের বৈষম্য অনাদিকালের। জীবনযাত্রা, খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা সবকিছুতেই পার্থক্য দৃশ্যমান। শুধু তাই-ই নয় বয়সও পার্থক্য করেছে ধনী-গরীবকে। ধনীর চেয়ে ১৯ বছর আগেই পৃথিবী ছাড়তে হয় গরীবকে। এই বৈষম্য দিনের আলোর মতো স্পষ্ট করেছে ইউএনডিপি’র রিপোর্ট।

জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি)র প্রকাশিত ২০১৯ সালের মানব উন্নয়ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, উচ্চ আয়ের মানুষের তুলনায় জীবনযাত্রায় নিম্ন আয়ের মানুষ শুধু পিছিয়েই থাকে না, বরং উচ্চ ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে গড় আয়ুর পার্থক্যও প্রায় ১৯ বছর। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে ইউএনডিপি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিম্ন আয়ের পরিবারে জন্ম নেয়া একটি শিশুর গড় আয়ু ৫৯ বছর। বিপরীতে উচ্চ আয়ের পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুটির গড় আয়ু  ৭৮ বছর।

ইউএনডিপি আরও জানায়, পিছিয়ে পড়া মানুষদের মধ্যে চরম দারিদ্র্যতার মধ্যে বাস করে বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ। আর বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক পরিমাপে এ সংখ্যা ১৩০ কোটি। এসবের মূলে রয়েছে অর্থনৈতিক শ্রেণিবৈষম্য।

বর্তমান সময় মানুষের জীবনযাত্রার মনোন্নয়নে সফলতা উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, গোটা বিশ্বে ব্যাধি ও দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পেয়ে ন্যূনতম জীবন ধারণের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে অসংখ্য মানুষ। এ উন্নতির সূচক নির্দেশ করে যে, এর মূলে আছে শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস। তবে অনেক ক্ষেত্রে যে অসমতা রয়েছে, সেই অসমতাগুলো জীবন-মৃত্যু, সুযোগ-সুবিধা ও উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে আছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, নিম্ন মানব উন্নয়ন দেশগুলোর মাত্র ৮২ শতাংশ মানুষ প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেছে, যেখানে উচ্চতম মানব উন্নয়ন দেশগুলোতে এই হার ৯১ শতাংশ।

আর শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বস্তরেই এখনও অসমতা বিরাজমান। বিশ্বের নিম্ন মানব উন্নয়ন দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ। যে সুযোগ উন্নত দেশগুলোতে ২৯ শতাংশ। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি