ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

নীলিমা ইব্রাহিমের ১০১তম জন্মদিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৯, ১১ অক্টোবর ২০২১

অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিমের ১০১তম জন্মদিন ১১ অক্টোবর, সোমবার। একাধারে তিনি শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী ও নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর বাগেরহাটের মূলঘর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশের অসংখ্য নির্যাতিত নারী ও যুদ্ধশিশুকে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার।

বাবা প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এবং মা কুসুমকুমারী দেবী মেয়ের নাম রেখেছিলেন নীলিমা রায় চৌধুরী। ১৯৪৫ সালে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে বিয়ের পর তিনি হন নীলিমা ইব্রাহিম। তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে কলা ও শিক্ষায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় এমএ পাস করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। সেখান থেকে ১৯৫৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। বাংলা একাডেমির অবৈতনিক মহাপরিচালক এবং ঢাবির রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষও ছিলেন নীলিমা ইব্রাহিম। 

শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি অনেক বই লিখেছেন। ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইটির জন্য ড. নীলিমা ইব্রাহিম বিশেষভাবে খ্যাত। স্বাধীনতা যুদ্ধে ধর্ষিত ও নির্যাতিত নারীদের নিয়ে লেখা এ গ্রন্থ দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। 

তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে ‘এক পথ দুই বাঁক’, ‘কেয়াবন সঞ্চারিণী’, ‘নাটক : উৎস ও ধারা’, ‘বাঙালী মানস ও বাংলা সাহিত্য’, ‘যে অরণ্যে আলো নেই’, ‘রোদজ্বলা বিকেল’, ‘সূর্যাস্তের পর’ উল্লেখযোগ্য। 

নীলিমা ইব্রাহিম একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, লেখিকা সংঘ পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০০২ সালের ১৮ জুন তিনি মারা যান।

তিনি ২০০২ সালের ১৮ জুন মৃত্যুবরণ করেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি