ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে, কমছে দাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৮, ২০ নভেম্বর ২০১৯

রাজধানীসহ সারা দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পণ্যটির দাম আরও কমেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর পাইকারি বাজারে আগের দিনের তুলনায় (সোমবার) পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ১০-৩০ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে কমেছে ৩০-৫০ টাকা।

এদিন রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০-১৮০ টাকা এবং পাইকারি বাজারে ৮০-১৩০ টাকা।

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমদানি করা পেঁয়াজ বিমানে আনা প্রথম চালান আজ বুধবার পৌঁছবে।

এটি মঙ্গলবার আসার কথা ছিল। এদিন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে বিপদে আছি।

তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমেছে। পেঁয়াজ লোডিংয়ে সমস্যা হওয়ায় ২৪ ঘণ্টা পিছিয়েছে। বিমানে আনা পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

এ ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দেবে। আজ বুধবার পেঁয়াজবাহী বিমান দেশে পৌঁছালেই চার-পাঁচশ ট্রাকের মাধ্যমে সারা দেশে বিক্রি শুরু হবে। যাতে সব জায়গায় দামটা কমে যায়।

বুধবারও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারের ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত ছিল। টিসিবির ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে সাধারণ ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।

রাজধানীর ৩৫টি স্থানে ৪৫ টাকা কেজি দরে পণ্যটি বিক্রি করেছে টিসিবি। এদিন বেলা ১টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের বাইরের রাস্তায় এবং কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের সামনে টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ ক্রেতারা ৩-৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে পেরেছেন। তবে এর পরিমাণ যদি দুই কেজি হতো তাহলে, তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হতো।

মঙ্গলবার রাজধানীর সর্ববৃহৎ পেঁয়াজের পাইকারি আড়ত শ্যামবাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা।

যা একদিন আগে (সোমবার) বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৬০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের মধ্যে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০-১১০ টাকা। যা একদিন আগে বিক্রি হয়েছে ১০০-১২৫ টাকা।

এ ছাড়া নতুন পাতাসহ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা। যা একদিন আগে বিক্রি হয় ৯০-১০০ টাকা।

একই দিন রাজধানীর নয়াবাজার, রামপুরা বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ১৮০-১৯০ টাকা। যা একদিন আগে (সোমবার) বিক্রি হয়েছে ২২০-২৩০ টাকা দরে।

আমদানি করা মিয়ানমার ও মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা। যা একদিন আগে বিক্রি হয় ২০০-২১০ টাকা। এ ছাড়া নতুন পাতাসহ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০-১১০ টাকা। যা একদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১১০-১২০ টাকা।

জানতে চাইলে শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ আড়তদার ও আমদানিকারক শঙ্কর চন্দ্র ঘোষ বলেন, পাইকারি বাজারে গত দু’দিনে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।

যে কারণে গত দু’দিন ধরে পেঁয়াজের দর কমছে। সর্বশেষ একদিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার কমেছে ১০-৩০ টাকা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আদেশে পেঁয়াজের চালান দেশের বাজারে আসছে।

আর এ পেঁয়াজ সরবরাহ শুরু হলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। তাছাড়া দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে।

আর দিন যত যাবে আরও বেশি সরবরাহ বাড়বে। তখন পেঁয়াজের দর কেজিতে ২৫-৩০ টাকা চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সেগুনবাগিচা বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আলাউদ্দিন বলেন, গত একদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।

পাইকারি বাজার থেকে কম দামে পেঁয়াজ আনা যাচ্ছে। তাই পেঁয়াজের দাম খুচরা পর্যায়েও কমেছে। এ চিত্র অব্যাহত থাকবে।

জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, আকাশপথে আসা পেঁয়াজ টিসিবি গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছে। আর অতি অল্প সময়ের মধ্যে তা ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে টিসিবির ডিলাররা প্রস্তুত।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি