ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মধ্যরাতে আঘাত হানতে পারে ‘বুলবুল’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২৭, ৯ নভেম্বর ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পুরোপুরিভাবে শনিবার মধ্যরাত নাগাদ আঘাত হানতে পারে বলে জানানো হয়েছে। যখন বাংলাদেশে এটি ঢুকবে, তখন এর কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার হতে পারে বলে পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে। এর আগে পূর্ভাবাসে বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এটি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে যে কোনো সময় আঘাত আনতে পারে বুলবুল। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক আয়েশা খানম বলেন, ‘এখন বলা যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রভাগ উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে। বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমেছে। প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে, যা আগে ছিল ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে এসে আঘাত হানলে এর গতি কমতে থাকবে। সাধারণত ভূখণ্ডে বাধা পেয়ে এর গতি কমে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে। পায়রা বন্দর থেকে ২৫৫ কক্সবাজার থেকে ৪৩৫ ও চট্টগ্রাম থেকে ৪২৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে।’

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবে সকালে পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের ৭ নম্বর সংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ৬ নম্বর সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে, যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।

ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি