ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনিশ্চিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১৪:৩৩, ২৮ এপ্রিল ২০২০

দেশে প্রতিদিনিই বাড়ছে করোনা রোগী। বাড়ছে মৃত্যুসংখ্যা। গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বন্ধ আরও কতদিন থাকবে তা কেউই বলতে পারবে না। সবকিছু পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। 

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। যখন করোনা থাকবে না, তখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। 

সবমিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। ফলে শিক্ষার্থীদের এ বছরের সব পরীক্ষা অনেকটা অনিশ্চিত। 

এ বিষয়ে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জেএসসি, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি এবং আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বেশি শঙ্কায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

করোনার প্রাদুর্ভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এমনকি নতুন সময়সূচিও প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। যদি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক এবং মাধ্যমিকের ষাণ্মাসিক পরীক্ষাও নেওয়া যাবে না। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন পড়ালেখা বন্ধ রাখলে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া ভিন্ন পথ খোলা থাকবে না। খোলার পর পাঠদান বাড়ানোর জন্য ঐচ্ছিক ছুটি কমানো এবং সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হতে পারে।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, স্কুলের সাময়িক বা বার্ষিক পরীক্ষা কোনোভাবে সামলে নিতে পারবে স্কুলগুলো। কিন্তু পড়াশোনা না করতে পারলে, স্কুলে পাঠদান না হলে আগামী জেএসসি, ২০২১ সালের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েই আশঙ্কা তৈরি হবে। তবে এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করে সিলেবাস কমানোর বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

তিনি জানান, যদি সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় তবে পরবর্তী মাসে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যাবে। এছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা যাবে। বর্তমানে সংসদ টেলিভিশনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণির পাঠদান দেখানো হচ্ছে। এতে তেমন সাড়া মিলছে না শিক্ষার্থীদের।

অন্যদিকে সংকটে পড়েছে উচ্চশিক্ষাও। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে তাদের সেমিস্টারের পাঠদান শেষ করেছে। ইউজিসির বাধ্যবাধকতা থাকায় অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারছে না। এমনকি পরবর্তী সেমিস্টারও শুরু করতে পারছে না। 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বসবো। একটা সেমিস্টার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে আমরা ভাবছি। আমরা অনলাইনে ক্লাস নিতে বলেছি। কিন্তু পরীক্ষা নিতে নিষেধ করা হয়েছে।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি