ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

হজে যে কাজগুলো করণীয়

প্রকাশিত : ২০:২৬, ২৮ জুন ২০১৯

(ফাইল ফটো)

(ফাইল ফটো)

হজের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা। যাদের সক্ষমতা রয়েছে তাদের জন্য আবশ্যক করা হয়েছে হজ। নির্দিষ্ট ৪টি স্থানে ৫ দিনে ৯টি কাজ করার নামই হচ্ছে হজ। জিলহজের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত এই পাঁচ দিন হচ্ছে হজের মূল কার্যক্রম।

হজের সময় হাজীদের চারটি স্থানে উপস্থিত থাকতে হবে। তা হলো - মিনা, আরাফার ময়দান, মুজদালিফা ও জামরায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ।

হজে মূলত তিনটি ফরজ কাজ : মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা, আরাফা ময়দানে নির্দিষ্ট সময় অবস্থান করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত।

হজের ওয়াজিব ছয়টি : মিনায় জামারাতে পাথর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ড করা, কোরবানি দেওয়া, মুজদালিফায় অবস্থান করে মাগরিব ও এশার নামাজ একই সঙ্গে পড়া, সাফা-মারওয়ায় সায়ী করা ও মিকাতের বাইরের হাজিদের বিদায়ী তাওয়াফ করা।

হজের সুন্নত হচ্ছে ১০টি : তাওয়াফে কুদুম, তাওয়াফে ইজতেবা ও রমল করা, ইমামুল হজের তিনটি খুতবা শোনা, জিলহজের ৮, ১০, ১১, ১২ তারিখে মিনায় রাত যাপন, মিনায় ফজর নামাজ আদায় করে আরাফাত ময়দানে যাওয়া, আরাফাতে গোসল করা, সূর্যাস্তের পর আরাফাতের মাগরিব না পড়ে মুজদালিফায় যাওয়া। জিলহজের ৯ তারিখ সেখানে রাত যাপন, জিলহজের ১০, ১১, ১২ তারিখ মিনার সীমানায় থাকা, পাথর মারা শেষে মিনা থেকে মক্কা যেতে পথিমধ্যে যাত্রা বিরতি করা।

ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ : স্ত্রী মিলন এবং ওই বিষয়ে কোন আলোচনা করা যাবে না। পুরুষদের ক্ষেত্রে কোন সেলাই করা জামা ও পায়জামা ইত্যাদি পরা বৈধ নয়। কথা ও কাজে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। পুরুষদের ক্ষেত্রে মাথা বা মুখ ঢাকা যাবে না, এমনকি টুপিও পরা যাবে না। নারীদের মাথায় অবশ্যই কাপড় রাখতে হবে। তবে মুখমণ্ডল স্পর্শ করে এমন কাপড় পরবেন না। নখ, চুল, দাড়ি গোঁফ ও শরীরের একটি পশমও কাটা বা ছেঁড়া যাবে না। কোন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। কোন ধরনের শিকার করা যাবে না। ক্ষতিকারক সব প্রাণী মারা যাবে। তবে ক্ষতি করে না, এমন কোন প্রাণী মারা যাবে না।

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি