ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

৭৪ বছরেও কাঁদে নাগাসাকিবাসী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪২, ৯ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ০৯:৫০, ৯ আগস্ট ২০১৯

হিরোশিমার ধ্বংসযজ্ঞের তিন দিনের মাথায় পারমাণবিক বিভৎসতার আরো একটি চিত্র উঠে আসে বিশ্ববাসীর কাছে। জাপানের নাগাসাকি শহরে ফেলা হয় ফ্যাটম্যান নামে পারমাণবিক বোমা। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায় ৪০ হাজার মানুষ। পরবর্তী কয়েক মাসে এ সংখ্যা দেড় লাখে পৌঁছে। ৭৪ বছর পরেও হামলার ভয়াবহতা কাটেনি নাগাসাকির বাসিন্দাদের মন থেকে। শান্তির বার্তা নিয়ে আজও রক্তস্নাত দিনটিকে স্মরণ করছে বিশ্ব।

হিরোশিমা ধ্বংসের খবরে নড়ে উঠেছিলো গোটা জাপান জাতি। ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে হতাহতদের উদ্ধারে যখন সবাই ব্যস্ত, তখনই আরো এক নৃশংসতা গ্রাস করে দক্ষিণ পশ্চিমের শহর নাগাসাকিকে।

১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট। স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিয়ে নাগাসাকির আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান বক্সকার। ব্যাস্ত নগরীর নিরীহ মানুষদের ওপর ফেলে দিয়ে যায় ৫ কেজী প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধ ১০ হাজার পাউন্ড ওজনের পারমাণবিক বোমা ফ্যাটম্যান।

মুহূর্তেই মাটির সাথে মিশে যায় শহরের উত্তর দিকের শিল্পাঞ্চল। মাটি থেকে ২০ হাজার ফুট উপরে উঠে যায় ধোঁয়ার কুন্ডলি। ঘটনাস্থলেই মারা যায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। পরবর্তী কয়েক মাসে মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় দেড় লাখে।

হিরোশিমায় ফেলা বোমা লিটল বয় থেকে বহু গুণ শক্তিশালী ছিলো ফ্যাটম্যান। তবে আকাশে মেঘ থাকায় টার্গেট অনুযায় বোমা ফেলতে পারেনি মার্কিন বাহিনী। আর পাহাড়ি অঞ্চলের অনেকটাই রক্ষা পায় নাগাসাকি। তবুও পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি মানুষরা। এমনকি গর্ভের শিশুরাও জন্ম নিতে থাকে নানা রকম শারিরীক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে।

এর পর আত্মসমর্পণ করে জাপান। শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর নাগাসাকি শহর পরিচিতি পায় পারমাণবিক হামলার সর্বশেষ শহর হিসেবে। হামলার ৭৪ বছর পার হলেও এখনো হামলার ক্ষত রয়ে গেছে মানুষের মনে। এখনো এই দিনটি কাঁদায় নাগাসাকিবাসীকে। 

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি