ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

‘পথের পাঁচালী’র শরীরে নতুন রঙ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫৫, ২ জুন ২০২০ | আপডেট: ২৩:৫৮, ২ জুন ২০২০

সত্যজিৎ রায় একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক এবং লেখক। তাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী এবং তার কাজের পরিমাণ বিপুল।

তিনি ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, এর মধ্যে অন্যতম কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” (Best Human Documentary) পুরস্কার।

লকডাউনে যখন সবাই ঘরে বসে আছে, এই সময়ের মধ্যেই কলকাতায় সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি থেকে আবিষ্কার হচ্ছে না-দেখা না-জানা নানা চিঠি, ছবি, খসড়া, ঠিক সেই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সত্যজিতের সাদা-কালো ক্লাসিক ছবি 'পথের পাঁচালী'র শরীরে রঙ লাগানো হচ্ছে। আর এই কাজটা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির মেরিল্যান্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিসার্চ প্রফেসর ৩০ বছর বয়সী অনিকেত বেরা।  

তিনি ছবির কয়েকটি দৃশ্যকে রঙিন করে তোলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। একটি ক্লিপ তৈরি করেন যা আড়াই মিনিটের মতো লম্বা, তিনি রঙিন ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করেন গত ১৪ মে । খুব দ্রুত তাঁর এই কাজ এবং তিনি নিজে গোটা বিশ্বের সত্যজিৎ-ভক্তদের আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন।

'এই মহৎ শিল্পকর্মটি এইভাবে দেখার কথা নয় এটা আমি বিশ্বাস করি। একটা অ্যাকাডেমিক পরীক্ষা হিসেবেই আমার এই চেষ্টাকে দেখুন। অতীতের পশ্চিমা অনেক বিখ্যাত সিনেমা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক গবেষক এবং অধ্যাপক এই ধরনের পরীক্ষা করেছেন। আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি ছবি নিয়ে আমি পরীক্ষা চালিয়েছি মাত্র।'

মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক সত্যজিৎ রায়ের একজন গুণমুগ্ধ অনুরাগী তা অনেকেই জানেন না বা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা ভালোবেসেই একটা 'পরীক্ষা' করতে গিয়েছিলেন রং নিয়ে। 

গোটা ব্যাপারটা তিনি নিজেই বিশ্লেষণ করে বলেছেন, কলকাতার কাছে ডায়মন্ড হারবারের মানুষ হলেন অনিকেত। বড় হয়েছেন দিল্লিতে। নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরেট করেন। তাঁর মতে, 'যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহয্যে কাজটি করা হয়েছে, তা কাজ করে একেবারে মানুষের মস্তিস্কের মতো করে। মৌলিক রং কী ছিল সেটা এতটুকু না জেনেও হুবহু সেই রঙ এনে দিতে পারে। এই টেকনোলজিকে বলা হয় নিউট্রাল নেটওয়ার্ক। এটাই হল মানব মস্তিষ্কের হুবহু মডেল।'

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি