ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শার্শায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চলছে পশু চিকিৎসা

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৪৩, ৪ মে ২০২১

যশোরের শার্শায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে পশুপালন চিকিৎসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী সুচিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। তাতে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে খামারি বা চাষিদের।

সম্প্রতি উপজেলার নাভারন প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সরেজমিনে গিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সরকারি ইনজেকশন ও পাউডারের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা অসুস্থ গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীর রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে চিকিৎসায় সফলের পরিবর্তে আরও রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে পশু।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের র‌্যাকে রক্ষিত অসুস্থ গরু-ছাগলের চিকিৎসায় ইনজেকশনের বোতলের গায়ে মেয়াদ উল্লেখ আছে ২০২১ সালের ২১ মার্চ। অথচ ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল দেখা যায় ওই ইনজেকশন অসুস্থ গরু-ছাগলকে পুশ করা হচ্ছে। কেমোনিড (ওরাল পাউডার) প্লাষ্টিক প্যাকেট গায়ে মেয়াদ উল্লেখ আছে ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। অথচ এই ওষুধগুলো এখনও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের র‌্যাকে রক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

এভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা জেনেশুনে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করছেন রোগাক্রান্ত পশুর শরীরে। তবে খামারি বা চাষিদের অভিযোগ, সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দিয়ে এসব ওষুধ সবার চোখের আড়ালে ব্যবহার করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুমা আক্তার বলেন, কিভাবে আমার দপ্তরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এলো আমি বুঝতে পারছি না। আমার মনে হয়, বাইরের কেউ শত্রুতা করে এখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। 
এএইচ/ এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি