লালমনিরহাটে গড়ে উঠেছে রেডিও শ্রোতা ক্লাব (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:০৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
হারিয়ে যায়নি রেডিও; এখনও অনেকেই শুনেন। অবশ্য তাদের অধিকাংশই স্বাধীনতার আগের প্রজন্ম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছিল রেডিও। আর সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে লালমনিরহাটে গড়ে উঠেছে রেডিও শ্রোতা ক্লাব। ৫০ সদস্য বিশিষ্ট ক্লাবটি রংপুর বেতারের নিবন্ধনকৃত।
লালমনিরহাট সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে মালিবাড়ী গ্রাম; এখানের বৃদ্ধজনেরা গড়ে তুলেছেন মালিবাড়ী রেডিও শ্রোতা ক্লাব। এ গ্রামে এলেই শোনা যায় রেডিওতে প্রচারিত খবর ও গানসহ অন্য অনুষ্ঠান-আয়োজন, বাজনা। রংপুরের ভাওয়াইয়া গান তাদের পছন্দ।
পুরনো সব দিনের আবহে এখানে এভাবেই ভেসে আসে রেডিও’র শব্দ। সবার বাড়িতে-বাড়িতে রয়েছে রেডিও। আর সময় পেলে চলে আসেন ক্লাবে।
মালিবাড়ী রেডিও শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি পনির উদ্দিন বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর আমরা দেখলাম যে অনেকেরই রেডিও নেই, দাম বেশি তাই অনেকে কিনতে পারছে না। রেডিও ছাড়া আমরা সচেতন হতে পারি না, রেডিও ছাড়া আমরা কোনো তথ্য পাই না- এ জন্যই গ্রামের লোকদেরকে ডাকলাম। সবাই বসে মতামত দিল একটা শ্রোতা ক্লাব গঠনের।
রেডিওতে প্রচারিত কৃষি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান শুনতে বেশি পছন্দ করেন এ ক্লাবের সদস্যরা।
মালিবাড়ী রেডিও শ্রোতা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনতোষ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা বহুদিন থেকে রেডিও শুনি। রেডিও জন্ম থেকে আমরা সেট রাখছি।
মহান মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’র ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। সময়-সভ্যতার উৎকর্ষ ঘটেছে, তবু রেডিও’র সাথে জড়িয়ে আছে জীবনাচারণ।
মালিবাড়ী রেডিও শ্রোতা ক্লাবের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, যুদ্ধকালীন সময়ে আমরা রেডিও শুনতাম, রেডিও’র গানবাজনা শুনতাম। মনের যে ভয় এই রেডিও’র গানের মাধ্যমে সেই ভয়টাকে দূর করে দিয়েছি।
নারীরাও ক্লাবের সদস্য। তারা এখানে এসে রেডিও শুনেন।
মালিবাড়ী রেডিও শ্রোতা ক্লাবের সদস্য আসমা বেগম বলেন, ফলের গাছ, সুপারি গাছ এবং অন্যান্য গাছ কিভাবে রোপণ করতে হয়, অন্য কি করতে হয় এখানে শুনে সেই কাজ করি।
বাজারে এখন সচরাচর রেডিও কিনতে পাওয়া যায় না। তাই ক্লাবের অনেক সদস্যই নতুন রেডিও সংগ্রহ করতে কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন