ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রামগতিতে শিক্ষার্থী আছে নেই বিদ্যালয়

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:০০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি মেঘনা নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে। চোখের সামনেই ২০ জুন ভবনটি নদীর পেটে চলে যায়। প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রছাত্রী আছে শুধু আমাদের স্কুলটি নেই। একথা ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যায়। আপাতত আমরা পাশের একটি মক্তবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করছি।

তিনি আরও বলেন, যে মক্তবে এখন ক্লাস হচ্ছে এটিও নদী থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে এ ঠিকানাও আমাদেরকে হারাতে হবে। এছাড়া লোকজন ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীও কমে যাচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চরবালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দুই তলা বিশিষ্ট করা হয়। করোনার আগে এ বিদ্যালয়ে ২৫২ শিক্ষার্থী ছিল। নদীর ভাঙনের কারণে ২০ জুন বিদ্যালয় ভবনটি পুরোপুরি তলিয়ে যায়। এর কয়েকদিন আগে ধরে তা ভাঙনের কবলে পড়ে। চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ও জবির জানায়, তারা আগের দিন গিয়ে ভেঙে যাওয়া অবস্থায় স্কুলটি দেখেছে। পরদিন সকালে গিয়ে দেখে সেখানে কিছুই নেই। নদী আর নদী। তখন তারা সবাই মিলে অনেক কান্নাকাটি করেছে।

এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান বলেন, নদীতে ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আপাতত পাশের একটি মক্তবে পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নদীর অব্যাহত ভাঙনে কয়েক বছরে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হারিয়ে গেছে। একাধিকবার স্কুল, মাদ্রাসা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে পরিচালনা করলেও পরে আবার ভাঙনের কবলে পড়ে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি