ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গন অনেক সমৃদ্ধ: নিশান শুভ্র

প্রকাশিত : ১৮:১৬, ১৬ মে ২০১৯ | আপডেট: ২১:৪৪, ১৬ মে ২০১৯

বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের কলকাতা ও মুম্বাইয়ের সঙ্গীত জগতে বেশ সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের ছেলে নিশান শুভ্র। ছোট বেলা থেকেই সঙ্গীতাসক্ত শুভ্র গান শিখেছেন ঢাকা ও কলকাতার বড় বড় শিল্পীদের কাছে। এক পর্যায়ে গেয়েছেন ভারতের সুপার স্টার কুমার শানু, অনুরাধা পাড়োয়াল, অলকা ইয়াগনিক, উদিৎ নারায়ণসহ অনেক শিল্পীকে নিয়ে।

নিজের গাওয়া একক অ্যালবাম ‘শুধু মনে রেখো’ দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। নম্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি ঢাকায় এসে গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এখন তিনি কলকাতা-মুম্বাইয়ে কাজ করছেন। সম্প্রতি তিনি মুখোমুখি হয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনের। কথা হয় বাংলাদেশ, কলকাতা, মুম্বাইয়ের সিনেমা ও গান নিয়ে। এছাড়াও সমসাময়িক সময়ের বিভিন্ন কাজ, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- তানভীরুল ইসলাম

একুশে টিভি অনলাইন : কি ধরণের গান নিয়ে কাজ করেন?

নিশান শুভ্র : আমি মূলত সিনেমার গান নিয়ে কাজ করি। সিনেমার নানা গল্প নিয়ে গান লিখি। সম্প্রতি আমার একটা সিনেমা রিলিজ হয়েছে। ওটাতে আমার চারটা হিন্দি গান লেখা আছে। গানগুলো কুমার শানুসহ বিখ্যাত শিল্পীরা গাইবেন। আর এখন একটা হিন্দি গান নিয়ে কাজ চলছে।

একুশে টিভি অনলাইন : এছাড়া আর কী নিয়ে কাজ করছেন?

নিশান শুভ্র : গান, সিনেমা ছাড়াও আমি টুকটাক কবিতা লিখি। কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে। সামনের কলকাতা বইমেলায় ‘প্রেম নিবেদন’ নামে একটা বই প্রকাশ হবে। ২০০২ সালে ‘তুমি চাঁদের চেয়ে সুন্দর’, ২০০৪ সালে ‘স্মৃতির ধুলো’ প্রকাশিত হয়। এছাড়া সম্প্রতি কুমার শানুকে দিয়ে আমাদের চট্টগ্রামের একজন গীতিকারের গান করিয়েছি। গানটার শুটিং চলছে, খুব শীঘ্রই যা প্রকাশ করা হবে।

একুশে টিভি অনলাইন : আপনার কিছু কাজ সম্পর্কে জানতে চাই

নিশান শুভ্র : আমি আসলে খুব বড় মাপের লোক নই। আমি খুবই ছোট একজন মানুষ। তবে বড় মাপের মানুষদের সঙ্গে কাজ করি এটাই আমার পরিচয় ও ভাললাগা। আমি প্রখ্যাত গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জীর কথায় আসিফ, এসডি রুবেল ও কুমার শানুকে নিয়ে ‘কেন দেখলাম তারে’ অ্যালবামের সঙ্গীত পরিচালনা করেছি। বাংলাদেশে আমার সঙ্গীত পরিচালনায় সর্বশেষ অডিও অ্যালবাম ‘স্বপ্নীল প্রেম’ প্রকাশ পায়। অ্যালবামের ৮টি গান আমি ও কলকাতার জনপ্রিয় গীতিকার প্রিয় চট্রোপাধ্যায় লিখেছি। এছাড়াও আমি কলকাতার কণ্ঠশিল্পী রেমা, পূজা, সোনালী চৌধুরী ও কুমার শানুকে নিয়ে যথাক্রমে ‘গানচিলের দেশে’, ‘রঙিলা বন্ধু’ ও ‘প্রিয়তমা’ নামের তিনটি অ্যালবাম করেছি।

একুশে টিভি অনলাইন : যেহেতু দুই বাংলাতেই আপনি কাজ করছেন, এপার বাংলা ওপার বাংলার গানের মধ্যে পার্থক্য কেমন?

নিশান শুভ্র : আসলে আমাদের সবকিছুই আছে, আর্টিস্টরাও ভাল কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা ওপার বাংলার তুলনায় টেকনিক্যালি পিছিয়ে আছি। উপার বাংলার শিল্পীরা গান শিখে গান গায়, গান শিখে শিল্পী হয়, কিন্তু আমাদের দেশে এটা খুবই সহজ একটা কাজ। ওখানে শিল্পীদের গান গাওয়ার স্টাইল অন্যরকম, উচ্চারণ খুব শক্তিশালী। আর আমাদের দেশে হয়তো ফ্ল্যাট গাইছে, উপরে গাইতে পারলে নিচে গাইতে পারছে না, উপরে ভয়েস থাকলে নিয়ে ভয়েস থাকছে না। তবে আমাদের ব্যান্ড ওদের থেকে অনেক এগিয়ে আছে। কিন্তু এই ব্যান্ড সঙ্গীতটা ওই দেশে খুব বেশি জনপ্রিয় না।

কলকাতার পরিচালকরা ধৈর্য ধরে কাজ করেন। সিনেমা বা গান দুই ক্ষেত্রেই তারা অনেক সময় নিয়ে কাজ করেন। আর বাংলাদেশের পরিচালকদের এতো ধৈর্য নেই। তারা তাড়াহুড়ো করে একটা সিনেমা করে ফেলেন, একটা গান করে ফেলেন। সেটাতো ভালো হওয়ার কথা নয়। আর ভালো কিছু তৈরি করতে হলে প্রথমত ভালো পরিচালক হতে হবে। সেটা বাংলাদেশে হচ্ছে না।

একুশে টিভি অনলাইন : ভারতীয় সিনেমাগুলো প্রত্যেকটাই ব্যবসা সফল হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভিন্নটা হচ্ছে। এর কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?

নিশান শুভ্র : ভারতের সিনেমাগুলোর গল্প জীবনভিত্তিক। তাদের সিনেমার গল্পগুলো সাধারণ মানুষকে নিয়ে। তাদের সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয়। তাছাড়া ভারতের সিনেমাগুলো বেশ বড় বাজেটে করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে সিনেমাগুলো তৈরি করা হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ভালো মানের সিনেমা তৈরি করতে হলে নিজস্ব গল্প লাগবে। অন্যের লেখা বা সিনেমা চুরি করে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। এ জন্য উন্নতমানে ভালো গল্প আগে নির্বাচন করতে হবে।

বাংলা সিনেমাগুলো বাস্তবভিত্তিক কাহিনী নিয়ে করতে হবে। বড় বাজেটে করতে হবে। কার‌ণ ভালো মানের সঙ্গীত করার মতো যতেষ্ট সাপোর্ট এখনও তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। কলকাতা বা মুম্বাই যেভাবে সিনেমা বা সঙ্গীত নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশে সেভাবে হয় না। সেইভাবে করতে না পারলে বাংলা সিনেমা তার পূর্বের অবস্থায় ফিরবে না।

একুশে টিভি অনলাইন : তরুণ শিল্পী ও গীতিকারদের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?

নিশান শুভ্র : বাংলাদেশিদের আরও টেকনিক্যালি এগিয়ে যেতে হবে। একটা গান করতে গেলে যেমন কেটে রিদম করা, মিউজিক করা, এগুলো বাদ দিতে হবে। একটা গানের রিদমে সুর যখন দেয়, ইন্ডিয়াতে ওই সুরের উপর বানিয়ে করে, আর আমাদের এখানে জোর পূর্বক একটা রিদম ডুকিয়ে দেয়। তারপর এভাবেই গানটা করে দিবে, তারপর এটা রিলিজ করে দিবে। কিন্তু আগের যারা ছিলো, তাদের দিকে তাকান। আব্দুল জব্বার, এন্ড্রু কিশোর, তারা কিন্তু ব্যান্ডের শিল্পী ছিল না। তাদের গানগুলো কিন্তু এখনও অমর। আর নতুন শিল্পীরা শুধু তাদের গানই গেয়ে যাচ্ছে, নতুন কিছু বা ভালো কিছু করতে পারছে না। তো এই শিল্পীদের ভবিষ্যত কী? এখন তো সব নিজে নিজেই করে ফেলছে। নিজেই গান লিখছে, নিজেই সুর করছে, আবার নিজেই পরিচালনা করছে। তাহলে এর চেয়ে ভালোটা আর কী হবে? তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশী ব্যান্ডগুলো ভালো।

রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, আমাদের শিল্পীদের মধ্যে এখন হয় না। এর মূল সমস্যা হচ্ছে, আমাদের বাংলা গানের উচ্চারণ ভালো না। তারা শুদ্ধ করে বাংলাটাই বলতে পারে না। কলকাতার বড় বড় শিল্পীদের দেখেছি তারা অনেক পড়ে। গান গাওয়ার আগে গানের বক্তব্য কী, কী লিখেছে, এসব মাথায় নিয়ে কাজ করেছেন। তাই আমাদের নতুনদের করণীয় হলো গান গাওয়ার আগে গান শিখতে হবে। না শিখে একাই সব করে ফেলার মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।

একুশে টিভি অনলাইন : আমাদের সঙ্গীত পিছিয়ে থাকার প্রধান কারণ কি বলে মনে করেন?

নিশান শুভ্র : প্রথমত গ্যাপটা হচ্ছে- আমাদের ইনস্ট্রোমেন্টের (যন্ত্রপাতি) অভাব। বম্বেতে, কলকাতায় যে লেদার আছে, এখানে লেদার নেই। ওখানে ১০০টা ঢোল তবলা পাবেন, কিন্তু এখানে একসঙ্গে ১০০টা পাবো কিনা সন্দেহ আছে। ট্র্যাকের অনেক সমস্যা আছে। আমাদের যখন ১০০টা ইনস্ট্রোমেন্ট (যন্ত্রপতি) হবে, তখন আমাদের সমস্যাটাই চেঞ্জ হয়ে যাবে। বড় কিছু করতে গেলে অবশ্যই ভালো টেকনিক্যাল জানতে হবে। যেমন, ৩০টা ভায়োলিন আছে, এর মধ্যে কোনটা সুরে হচ্ছে, কোনটা বেসুরে হচ্ছে সেটা জানতে হবে।

একুশে টিভি অনলাইন : বাংলাদেশের সঙ্গীতের স্বর্ণযুগ হিসাবে কোন সময়টাকে আপনি মনে করেন?

নিশান শুভ্র : অবশ্যই আমাদের সঙ্গীতের স্বর্ণযুগ রয়েছে। আমাদের ফোক সঙ্গীত ভালো, কিন্তু তাকে কি আমরা প্রমোট করছি? আমরা কী ফোক গান গাইতে পারি না? আমরা শুধু ব্যান্ড সঙ্গীতের পিছনে ছুটছি। ব্যান্ড কী ফোক গাইতে পারবে? পারবে না। আমাদেরকে অবশ্যই ফোক গান গাইতে হবে। নয়তো বাংলাদেশি সঙ্গীতকে অবমাননা করা হবে। বিদেশী গান বাহির থেকে আমদানি করার দরকারটা কী? দেশে এতো সম্পদ থাকতে দেশের মানুষ বিদেশীদের থেকে ধারকর্য করার দরকারটা কী? আমরা তো চাইলেও আমেরিকান হতে পারবো না, ওয়েস্টার্ন হতে পারবো না। তাহলে নিজের সম্পদটাকে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করতে গেলে সমস্যাটা কী? ব্যান্ড গান আমাদেরই কয়জনেই শুনে? এটা হলো সিটি বেইজড। কিন্তু বাংলাদেশ বেইজড নয়। অথচ ফোক গান, ক্লাসিক গান হলো গ্রাম, শহর, সকলের গান। যা সবাই শুনে। এগুলো তো আমাদের সম্পদ। অবশ্যই আমাদের এগুলোকেই প্রেক্টিস করা দরকার।

কলকাতার যারা বিখ্যাত শিল্পী এদের বেশিভাগের বাড়ি বাংলাদেশে। তাদের মিউজিক আইকন হলো এসডি বর্মণ। যার বাড়ি কুমিল্লায়। তার হাত ধরেই বিখ্যাত শিল্পীরা এসেছেন। যেমন- মোহাম্মদ রাফি, মান্না দে, কিশোর কুমার গিতা দত্ত। এরা সবাই এসডি বর্মণের হাত ধরে তারকা হয়েছেন।

একুশে টিভি অনলাইন : আমাদের তরুণদের যদি বাংলাদেশি কারও থেকে গান শিখতে হয়, তাহলে কার থেকে শিখা উচিত বলে মনে করেন?

নিশান শুভ্র : আমি যতই বলি বাংলাদেশ সঙ্গীতে পিছিয়ে আছে। তারপরও আমাদের অনেক কিছু আছে। তারা আমাদের সম্পদ। তাদের কথা যদি বলি, তাদের মধ্যে রয়েছে সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোরসহ অনেকেই আছেন। এছাড়াও অনেকেই আছেন যে, তাদের থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। এক কথায় আমরা সেটাকেই সঙ্গীত বলবো, যেটার মাধ্যমে আপনি মানুষকে তৃপ্ত করতে পারবেন। আর সেটা ওনারা পেরেছেন।

আজকে হিন্দি সিনেমা সারা বিশ্বেই চলে। আপনি পাকিস্তানে যান, সেখানেও হিন্দি সিনেমা ব্যাপক জনপ্রিয়। এছাড়া আপনি লন্ডনে যান, মধ্য প্রাচ্যে যান, সব জায়গাতেই দেখবেন ওপার বাংলার গানে আর সিনেমার জয়জয়কার। এর একমাত্র কারণ হলো, তারা ভেবে চিন্তে কাজ করছে। হুট করে মাথায় কিছু একটা আসছে আর সঙ্গে সঙ্গেই সেটা আমি করে ফেললাম, তাহলে তো হবে না। নিজেই শিল্পী, নিজেই গীতিকার, নিজেই সুর করছে, আবার নিজেই পরিচালনা করছে...! এভাবে তো সঙ্গীত হয় না ভাই। আমি বলবো বাংলাদেশি যারা নতুন গান গাইছেন বা সঙ্গীত নিয়ে কাজ করছেন, সবার আগে আপনাকে শিখতে হবে। সময় নিয়ে গান করুন, গানটা নিয়ে ভাবুন, তারপর গান। তাহলেই ভালো কিছু সম্ভব বলে আমি মনে করি।

একুশে টিভি অনলাইন : আমরা সম্প্রতি সঙ্গীত জগতের প্রাণ সুবীর নন্দীকে হারালাম, ওনার সম্পর্কে কিছু বলেন।

নিশান শুভ্র : সুবীর নন্দী এমন একজন বড় মাপের মানুষ, এতো বড় মাপের শিল্পী যে, তাকে নিয়ে বলার কোন সাহস আমার নাই। এক কথায় তিনি হলেন গ্রেট। তিনি ক্লাসিক্যাল এবং সিনেমার গান ভালো গাইতেন। রেডিও, টেলিভিশন, স্টেজ সবজায়গাতেই তিনি ভালো গাইতেন। আমি এটা গাইতে পারি, ওটা গাইতে পারি না, তা নয়। তিনি সব জায়গাতেই সুপারস্টার। ওনার ব্যাপারে আমি বলার কেউ না, সারা বাংলাদেশের মানুষই ওনার ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।

একুশে টিভি অনলাইন : বাংলাদেশ ও কলকাতার মিউজিকের মধ্যে বাজেটের কেমন পার্থক্য রয়েছে?

নিশান শুভ্র : কলকাতার বাজেটের চেয়ে বাংলাদেশের বাজেট কোন অংশে কম নয়। বরং তাদের বাজেটের চেয়ে আমাদের বাজেট অনেক ভালো। কিন্তু বাংলাদেশের মিউজিকটা সে তুলনায় ভালো না। কলকাতায় বাজেট কম, কিন্তু তারা ভালোবেসে কাজটা করে। ওখানে অনেক মিউজিশিয়ান আছেন। ওখানে কাজ করে অনেক গান আমরা হিট দিয়েছি। বাজেট যতটুকু আছে, এইটুকুই যথেষ্ট, তবে টেকনিক্যালি আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।

[এক নজরে নিশান শুভ্র :

জন্মস্থান : চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলা।

প্রিয় শিল্পী : কুমার শানু ও কিশোর কুমার

প্রিয় মানুষ : নেই। যে ছিলো, সে দুনিয়ে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে।

পরিবারে যারা আছেন : তিন বোন, এক ভাই। তিনি সবার বড়। সবার বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা নেই।]

টিআই/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি