ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

রক্তে প্লাটিলেট বাড়াবেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২৯, ২৬ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২০:৩২, ২৬ জুলাই ২০১৯

রক্ত কণিকার মধ্যে সবচেয়ে ছোট আকারের হলো ‘প্লাটিলেট’ বা অণুচক্রিকা, যা রক্ত জমাট বাঁধাতে সাহায্য করে। ২০ হাজারের নিচে প্লাটলেটের সংখ্যা নেমে আসলে কোনো প্রকার আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে। যেমন নাক বা দাঁতের মাড়িতে রক্তপাত, প্রসাব কিংবা মলের সঙ্গে রক্তপাত, ক্ষতস্থান না শুকানো এবং সেখান থেকে রক্তক্ষরণ, র‌্যাশ ইত্যাদি প্লাটিলেট কমে যাওয়ার উপসর্গ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

অ্যানিমিয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, লিউকেমিয়া, মদ্যপান, কেমোথেরাপি, ভিটামিন-বি১২ এর অভাব কিংবা অন্য জটিল রোগের কারণেও প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ তৈরি না হওয়া এবং তীব্র মাত্রার ক্যান্সার বা পিত্তথলির বিভিন্ন মারাত্মক রোগের কারণেও অণুচক্রিকা কমে যায়।

মানুষের রক্তে স্বাভাবিকভাবে প্লাটিলেটের পরিমাণ প্রতি ঘন মিমিতে দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। নানা কারণেই এর সংখ্যা কমে আসতে পারে, আর তখন রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্লাটিলেটের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়াকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া’।

কিছু খাবার আছে যেগুলো প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আসুন জেনে নেই সেসব খাবারের নাম। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই প্লাটিলেটের সংখ্যা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিছু খাবার আছে যেগুলো প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আসুন জেনে নেই সেসব খাবারের নাম।

পেঁপে ও এর পাতা: ২০০৯ সালে মালয়শিয়ার ‘এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র করা গবেষণা অনুযায়ী, পেঁপে ও এর পাতা অণুচক্রিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য প্রতিদিন পাকাপেঁপে কিংবা পেঁপে পাতার শরবত পান করা যেতে পারে। অথবা পেঁপের শরবত বানিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়েও পান করতে পারেন।

কুমড়া ও এর বীজ: শরীরে আমিষ তৈরি করতে কুমড়ায় থাকা পুষ্টি উপদানগুলো কার্যকরী। এছাড়া এতে থাকে ভিটামিন-এ, যা শরীরে অণুচক্রিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় সহায়ক।

লেবুর সরবত: লেবু থেকে মেলে ভিটামিন-সি যা অণুচক্রিকার সংখ্যা বাড়ায়। পাশাপাশি এটি রোগ প্রাতরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ফলে মুক্তমৌলজনীত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় অণুচক্রিকা।

আমলকী: এতেও আছে ভিটামিন-সি, তাই লেবুর সব গুণাগুণ মেলে। বাড়তি উপকার হল, আমলকীতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার জন্য দায়ী বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে।

বিট: মুক্তমৌলজনীত ক্ষতি থেকে অণুচক্রিকাকে রক্ষা করতে বিট বেশ উপকারী। পাশাপাশি বাড়ায় এর পরিমাণ। তাই এক গ্লাস বিটের শরবত খাওয়ার অভ্যাস অণুচক্রিকার অভাব কমাতে সাহায্য করবে অনেকটাই।

অ্যালোভেরার শরবত: রক্ত বিশুদ্ধ করতে সহায়ক অ্যালোভেরা। রক্তে সংক্রমণ দূর করতেও এটি উপকারী। উভয়েরই ফলাফল রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা বৃদ্ধি।

পালংশাক: ভিটামিন-কে থাকে পালংশাকে। যা কাটাছেঁড়ায় রক্ত বন্ধ করতে সাহায্য করে। আর নিয়মিত পালংশাকের শরবত বানিয়ে পান করলে অণুচক্রিকার পরিমাণ বাড়বে।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি