ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

ডায়াবেটিস নিরাময়ে অশোক গাছ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১০:৩২, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশে অনেক ওষুধী গাছ রয়েছে। যার মধ্যে অশোক গাছ অন্যতম একটি। স্বাভাবিকভাবে আমরা অনেকেই এই গাছের গুনাবলি জানি না। এই গাছের গুনাবলি তুলে ধরেছেন ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়ার’ বইয়ে। একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

অনিয়মিতি রিতুস্রাব- ১৫-২০ গ্রাম পরিমান অশোক ছাল আধাচূর্ণ করে দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে পরে জ্বাল দিয়ে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে খেতে হবে।  উল্লিখিত নিয়মে দিনে দুই বার নিয়মিত এক থেকে দুই মাস খেতে হবে।

প্রসব বা লিউকোরিয়া– ১০ থেকে ১২ গ্রাম অশোক ছাল নিয়ে আধাচূর্ণ করে এর সঙ্গে পাঁচ থেকে ১০ গ্রাম পরিমান আধাচূর্ণ ডালিম ফলের ছাল মিশিয়ে দুই কাপ পানিতে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে খেতে হবে।

আমযুক্ত মলে- এক থেকে দুই গ্রাম পরিমান অশোক বীজ দিনে দুই বার কুসুম কুসুম গরম পানিসহ খেলে আশাতীত উপকার হয়।

পাইলস নিরাময়ে- অশোক ছালের নির্যাস পাইলস, ডিসপেপসিয়া ও ক্ষতস্থান নিরাময়ের জন্য বেশ উপকারী।

ডায়াবেটিস নিরাময়ে- শুষ্ক ফল সিফিলিস, ডায়াবেটিস ও রক্ত আমাশয় নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।

 অনিয়মিত রক্তস্রাব বন্ধের জন্য এ গাছের শিকড়ের ফল কার্যকরী।

সাধারণ ব্যবহার ফুলের রসজ- রোগ এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাতে, ফুলের কাই আমাশয় রোগে ব্যবহার্য।

পরিচিতি-মাঝারি আকারে চিরহরিৎ গাছ। এটি উচ্চতায় আট থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গাছের বাকল কালো বর্ণ। গাছে লাল ও কমলা বর্ণের থোকা থোকা ফুল ধরে। ফুল পূর্ণাঙ্গ, উভয় লিঙ্গ ও সবৃন্তক। বৃত্যাংশ পাঁচটি, মুক্ত, ইমব্রিকেট। অমরাবিন্যাস এক প্রান্তিয়। বসতবাড়ির আশেপাশে ও বনাঞ্চলে এ গাছ জন্মে। ফল লিগিউম। পাতার আকার আম পাতার মতো লম্বাটে।

 

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি