ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

স্ট্রোক প্রতিরোধে হারবাল !

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০০, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

হারবাল সেবনে স্ট্রোক করার পরও মস্তিস্কে কোন ধরণের প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। জিঙ্কো বিলোবা নামের হারবাল ওষুধ মস্তিস্ককে স্ট্রোক এর হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় এমনটিই উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যের ফুড শপ ও ফার্মেসিতে ওই হারবাল ওষুধটি পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাজ্যে ওই হারবালটি বিক্রি হলেও, চীনারা ওই হারবাল ওষুধটি বেশি ব্যবহার করে থাকে বলে ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

চীনে ৫টি হাসপাতালের ৩৩০ জন স্ট্রোকের রোগীকে ছয় মাস ধরে ওই ওষুধটি সেবন করানোর পর, তাদের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎকরা।

ওই প্রতিবেদন স্বাস্থ্য বিষয়ক অনলাইন জার্নাল ‘স্ট্রোক এন্ড ভ্যাসকিউলার নিউরোলোজি’তে চলতি মাসেই প্রকাশিত হয়। তবে এই গবেষণাকে একেবারেই দুর্বল বলছে বিশেষজ্ঞরা। তাই, মস্তিস্কের স্ট্রোক প্রতিরোধে এখনই জিঙ্কো বিলোবাকে সমর্থন করতে পারছে না তারা।

গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৩৩০ জন রোগীর গড় বয়স ৬৪ বছর। তাদের দুই অংশে বিভক্ত করে, একটি অংশকে দৈনিক ১০০ মিলিগ্রাম অ্যাসপাইরিনের সঙ্গে ৪৫০ মিলিগ্রাম জিঙ্কো বিলোবা এবং অপর অংশকে কেবল ১০০ মিলিগ্রাম অ্যাসপাইরিন খাওয়ানো হয়।

সাধারণত স্ট্রোকের কারণে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্থ হয়। এমনকি স্ট্রোককরা রোগীদের স্মৃতি হ্রাসসহ শারীরিক ক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়। তবে এ গবেষণার উদ্দেশ্যই ছিল, স্ট্রোক করা রোগীদের জিঙ্কো বিলোবা সেবন করালে কেমন প্রতিক্রিয়া হয়? তাঁদের শারীরিক ও মস্তিস্কে কার্যকারিতা হ্রাস ঠেকানোই ছিল এ গবেষণার আসল উদ্দেশ্য।  

সব রোগীদের স্নায়ুবিক পরীক্ষা প্রথমে ১২দিন পর করা হয়। এরপর ৩০, ৯০ ও ১৮০ দিন পর আবারও তাদের স্নায়ুবিক পরীক্ষা করেন গবেষকরা। এই গবেষণায় দেখা গেছে যাদের জিঙ্কো বিলোবা সেবন করানো হয়েছিল, তাঁদের মস্তিস্ক ও শারীরিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে যাদেরকে কেবল অ্যাসপাইরিন খাওয়ানো হয়েছিল তাদের মস্তিস্ক ও শারীরিক কার্যকারিতা তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্ট্রোকের ফলে যে রোগীর কথা বলতে সমস্যা হয় ও পেশি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে জিঙ্কো বিলোবা সেবনের ফলে তার কথা বলার ক্ষমতা বাড়ে। একইসঙ্গে পেশি সবল হতে দেখা গেছে। এর আগে এক গবেষণায় দেখা যায়, জিঙ্কো বিলোবা প্রাণীদের স্নায়ুর কোষগুলো মরে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

মস্তিস্কে রক্তপ্রবাহ বেড়ে গেলে সাধারণত স্ট্রোকের কারণে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্থ হয়। এমনকি স্ট্রোককরা রোগীদের স্মৃতি হ্রাসসহ শারীরিক ক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়। তবে এ গবেষণার উদ্দেশ্যই ছিল, স্ট্রোক করা রোগীদের জিঙ্কো বিলোবা সেবন করালে কেমন প্রতিক্রিয়া হয়? তাঁদের শারীরিক ও মস্তিস্কে কার্যকারিতা হ্রাস ঠেকানোই ছিল এ গবেষণার আসল উদ্দেশ্য।  

এর আগে এক গবেষণায় দেখা যায়, জিঙ্কো বিলোবা প্রাণীদের স্নায়ুর কোষগুলো মরে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। মস্তিস্কে সেরিব্রাল ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্তপ্রবাহ বেড়ে গেলে মস্তিস্কের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তবে জিঙ্কো বিলোবা সেবনে মস্তিস্কের কোষগুলো অক্ষত থাকে।  

তবে অ্যালজিমার রিসার্চের প্রধান ড. ডেভিড রেইনল্ড জিঙ্কো বিলোবা পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, গবেষকরা কেবল এটা প্রমাণে সফল হয়েছেন যে, কারা জিঙ্কো বিলোবা ব্যবহার করেছে আর কারা করেনি।

এসময় তিনি বলেন, এ পর্যন্ত হারবাল নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা হয়েছে। তবে ওই গবেষণাগুলো হারবাল ব্যবহারের চূড়ান্ত সফলতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। তবে চীনের গবেষকরা তার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা বলেন, আগের গবেষণাগুলোতে হারবাল ব্যবহারের কিছু ক্ষতিকর দিক থাকলেও বর্তমান গবেষণায় দেখা গেছে জিঙ্কো বিলোবায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

জিঙ্কো বিলোবা: জিঙ্কো বিলোবা হলো এক ধরণের পাতা থেকে তৈরি পাউডার। এটি জিঙ্কো বিলোবা গাছ থেকে উৎপাদন করা হয়।

 

আর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি