ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘নাগরিকত্ব বিল পাসের পথেই এগিয়ে চলেছি’

প্রকাশিত : ২২:২৭, ১২ জুন ২০১৯

ভারতের মেঘালয়ের রাজ্যপাল ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক বিজেপি নেতা তথাগত রায় নাগরিকত্ব বিল পাশের উপরে জোর দিয়েছেন। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ঠাকুরনগরে মতুয়াধাম ঠাকুরবাড়িতে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এ সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তথাগত ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার তীব্র বিরোধিতায় সোচ্চার হন।

তথাগত রায় বলেন, ‘ভারত সরকারের নীতি অনুযায়ী আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছেন যে আমরা নাগরিকত্ব বিল পাস করাবোই, করাবোই, করাবোই। সেই পথেই আমরা এগিয়ে চলেছি।’ তিনি এদিন মতুয়াদের প্রাণপুরুষ প্রয়াত প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে এক স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন।

তথাগত বলেন, ‘আমার কর্তব্য ভারত সরকারের নীতি আপনাদের সামনে তুলে ধরা। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে আমার অসুবিধা আছে।’ 

তথাগত নিজেকে ইতিহাস গবেষক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘১৯৫০ সালে বিশেষকরে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা থেকে কীভাবে কুকুরের মতো মানুষকে তাড়ানো হয়েছিল, আপনারা তা আন্দাজ করতে পারবেন না। কীভাবে গলা কেটে ফেলা হয়েছিল! এরপরে কত বড় ভণ্ড হলে একথা বলা যায় যে, যারা ওই অত্যাচার করেছিল চোরাপথে এখানে ঢুকেছে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। তাদের এখানে থাকবার সুবিধা দিতে হবে! কখনওই না। ইতিহাস সেকথা বলে না। এটা চরম ভণ্ডামি। এটা করলে মানুষের সর্বনাশ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের মত যে মানুষরা তার মধ্যে আমিও আছি। আমার বাড়ি ছিল কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আমরা যারা এসেছি এখানে ছিন্নমূল হয়ে, আমরা যারা এখানে নিজের জোরে নিজেদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেছি, আমাদের অধিকার আবার ওই অত্যাচারীরা কখনওই ছিনিয়ে নিতে পারবে না। এই জিনিস আজকে বলা হচ্ছে, কিন্তু ঘটনা ঘটছে বহুকাল থেকে। ১৯৭০-এর দশক ও তারও আগে থেকে এভাবে চোরাপথে এরা ঢুকছে। যারা আপনাদের অত্যাচার করে তাড়িয়েছিল, যারা আমাদের সর্বনাশ করেছিল, যারা আমাদের মেয়েদের বলাৎকার করেছিল, যারা আমাদের ধনসম্পত্তি কেড়ে নিয়েছিল, যারা আমাদের পথের ভিখিরি করেছিল, তারাই আবার ঢুকছে (ভারতে)! কোন  সাহসে লোকে বলে যে এদেরকে নাগরিকত্ব দিতে হবে?’

/কেআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি