ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে চীনকে সতর্ক করলো কানাডাসহ তিনটি দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ বহুদিনের। গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় এ ধরনের গুপ্তচরবৃত্তি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে দেশটিকে সতর্ক করে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড এবং কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

আমেরিকান নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে দ্য ফ্রন্টেয়ার পোস্ট জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের গোয়েন্দা বিভাগ ডাচ জেনারেল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিস গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় রক্ষায় হুমকি সৃষ্টি করছে এমন বিষয়গুলো সেখানে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চীনের সাইবার-গুপ্তচরবৃত্তি নেদারল্যান্ডসের ব্যাংকিং, জ্বালানী এবং অবকাঠামোসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে ‘আসন্ন হুমকি’ হয়ে উঠেছে।

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ক্লিনজেনদেয়াল ইনস্টিটিউটের গবেষক তিয়েস ড্যামস অ্যাক্সিওসকে জানান, ‘পর্দার অন্তরালে নেদারল্যান্ডসের গোয়েন্দা সেবা সংস্থাগুলোর অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে চীন। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এআইভিডি এবং এনসিটিভির নেতৃত্বে তারা অর্থনৈতিক খাতে চীনের গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।’

ড্যামস আরো বলেন, ‘মার্চে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে চীনের এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আভাস দিচ্ছে।’

নেদারল্যান্ডসের মতো ফিনল্যান্ডের গোয়েন্দা বিভাগও চীনের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ফিনিশ সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টিলিজেন্স সার্ভিসের পরিচালক আন্টি পেল্টারি চীন ও রাশিয়াকে উদ্বৃত করে জানান, স্বৈরাচারী দেশগুলো ‘ফিনল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নিজেদের আয়ত্তে নেয়ার চেষ্টা করছে।’ চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়েকে কোনভাবেই ফিনল্যান্ডে ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

অন্যদিকে কানাডার সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স সার্ভিসের পরিচালক ডেভিড ভিগন্যাল্টের বক্তব্য উদ্বৃত করে অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং সামরিক প্রতিটি দিক থেকেই ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে এমন কৌশলগুলো প্রয়োগ করছে চীন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সব উপকরণগুলো ব্যবহার করে চীন এমন সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে প্রত্যক্ষ হুমকি হয়ে উঠছে।’ 

তিনি আরো জানান, ‘এই কার্যক্রমগুলো আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সীমা অতিক্রম করছে।’  

বেইজিং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্বের অনেক দেশই চীনা কোম্পানি হুয়াওয়েকে ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের অনুমতি দিচ্ছে না। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে ব্যাপক টানাপোড়েন চলেছে।  ২০১৮ সালের আগস্টে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে দেশের সব মন্ত্রনালয়কে হুয়াওয়ে এবং জেডটিইর তৈরি যেকোন নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়ে ডিক্রি সই করেন। যুক্তরাজ্য সরকারও এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। 

দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে তাদের সব ফাইভজি নেটওয়ার্ক হুয়াওয়েমুক্ত করার কাজ শুরু করা হবে; আর এই কার্যক্রম চলবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।  সূত্র: এএনআই

এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি