ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে এফবিআইকে চিঠি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৬, ৫ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১২:৪৮, ৫ জানুয়ারি ২০২১

ক্ষমতা ছাড়ার ঘণ্টা বাজছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আর মাত্র কয়েকদিন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির মসনদে বসে থাকতে পারছেন। তারপরও শেষ চেষ্টায় নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে নানা ফন্দিকিরের আশ্রয় নিচ্ছেন ট্রাম্প। যার সবশেষ পদক্ষেপ ছিল জর্জিয়ায় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপ। 

আর এতে করে বিদায়ের আগে হয়তো বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। ওই ফোনালাপ ফাঁসের জেরে তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রতিনিধিত্ব পরিষদের দুজন সদস্য।

স্থানীয় সময় সোমবার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য টেড লিউ ও নিউইয়র্কের ক্যাথলিন রিস এক চিঠিতে এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার রাইকে বলেন, ‘একজন কংগ্রেস সদস্য ও সাবেক কৌঁসুলি হিসেবে, আমরা মনে করি, নির্বাচন কেন্দ্রীক অপরাধের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি তদন্ত করতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’

তবে আমারেকিার ইতিহাসে এমন কোনো বিচারের দৃষ্টান্ত নেই বলে জানা গেছে। ফেডারেল আদালত থেকে প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। যদিও কোনো অঙ্গরাজ্য আইনে তার অপরাধের দায় থেকে মুক্তি নেয়ার সুযোগ প্রেসিডেন্টের নেই।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তার দেশে হয়ে যাওয়া নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জন্য জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় ভোট সংগ্রহ করতেও বলেছিলেন তিনি। তার এই নির্দেশ না মানলে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন বলেও সেই কর্মকর্তাকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের ফোনালাপের একটি অডিও ফাঁস হয়। যেখানে ট্রাম্পকে এসব কথা বলতে শোনা যায়। ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তোলপাড় চলছে।

ফোনকলে রিপাবলিকান সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে তিনি বলেন, ‘দেখুন। আমি শুধু এটি করতে চাই। আমি শুধু ১১ হাজার ৭৮০টা ভোট খুঁজে পেতে চাই, যা আমাদের এখনকার চেয়ে একটি বেশি। কারণ আমরা এই অঙ্গরাজ্যে জিতেছি।’

ট্রাম্পের কথার জবাবে ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে বলেন, ‘আপনি ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কথা বলছেন। রাজ্যের ভোট একাধিকবার গণনা করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, জর্জিয়ায় ট্রাম্পের চেয়ে ১১ হাজার ৭৭৯ ভোট বেশি পেয়ে জয় লাভ করেছেন বাইডেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। কয়েকটি রাজ্যে ফলাফল বদলানোর চেষ্টা করেও তিনি সফল হননি।

জর্জিয়ায় একাধিকবার ফলাফল গণনা করা হয়েছে। এরপরেও সেখানে বাইডেনের বিজয়ই নিশ্চিত হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি সিনেটে এই ফলাফল অফিসিয়ালভাবে অনুমোদন লাভ করবে তা প্রায় নিশ্চিত। তবুও ট্রাম্প তার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছেন।
এআই/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি