ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সিটিসেলের সিইও মেহবুব চৌধুরীর জামিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৫, ২ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১১:২২, ৪ জুলাই ২০১৭

ব্যাংক ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গ্রেপ্তার সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মেহবুব চৌধুরীকে হাজির করার পর তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা মেহবুব চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন বলে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলফিকার জানিয়েছেন।

আদালতে মেহবুবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ, কামরুল ইসলাম শিকদার ও মনিরুল ইসলাম ‍দুলাল। দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী রেজাউল করিম রেজা ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জুয়েল

জামিনের আবেদনে তার আইনজীবীরা বলেন, বৈধভাবেই তিনি ঋণ নিয়েছেন, ঋণের বিপরীতে বন্ধকি জামানত রয়েছে। তিনি এক টাকাও নিজে আত্মসাৎ করেননি। তাছাড়া মামলার এজাহারে যে অপরাধের কথা বলা হয়েছে তা ৪২০ ধারায় হওয়ায় জামিনযোগ্য।

সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে মেহবুব চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ২৮ জুন একটি মামলা করে দুদক। ওই মামলার সূত্র ধরে গত শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মেহেবুব চৌধুরীকে।

ওই মামলায় মেহবুব চৌধুরী ছাড়াও সিটিসেলের অন্যতম মালিক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের পাশাপাশি এবি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান, সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ক্রেডিট) ও বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী, ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সালমা আক্তার, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মহাদেব সরকার সুমন।

এছাড়া ব্যাংকটির এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, সাবেক এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আরশাদ মাহমুদ খান ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, অপারেশনস বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহানুর পারভীন চৌধুরী,

সাবেক এভিপি ও মহাখালী শাখা ব্যবস্থাপক জার ই এলাহী খান এবং রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামারুজ্জামানকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে আসামিদের আত্মসাৎ করা অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা এবং সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড হওয়ার বিধান রয়েছে।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি