রায়ের অপেক্ষায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৯তম মামলা

রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনা ২৯ তম মামলা।

এই মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়াসহ ছয়জন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মো. আব্দুল লতিফ, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা। এর মধ্যে মো. আব্দুল লতিফ কারাগারে থাকলেও বাকী পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এর আগে ২৮ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। এসব রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও রিভিউয়ের চূড়ান্ত ছয়টি রায়ে জামায়াতের সাবেক আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

আপিল ও আপিল রিভিউ’র আরেক রায়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে দণ্ডিত দুই আসামী জামায়াত নেতা গোলাম আযম ও বিএনপি নেতা আবদুল আলীম মৃত্যুবরণ করেছেন।

এছাড়া আরো ১৬টি মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব মামলার আসামিরা হলেন- জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহান ও এটিএম আজহারুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত মোবারক হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার, চাপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটু, বাগেরহাটের শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টার ও খান আকরাম হোসেন, পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক, নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহের, কিশোরগঞ্জের এডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জের মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া ও তার চাচাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাক এবং জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য পরে বিএনপি ও জাপা নেতা সাখাওয়াৎ হোসেন। পর্যায়ক্রমে এসব আপিল মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছে এটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র। খবর : বাসস।

আর/ডব্লিউএন