যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার সুযোগ বাড়বে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৩৯, ১৯ জানুয়ারি ২০২১
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান জো বাইডেন ও তার প্রশাসন- এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, চীন-ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জায়গা থেকে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে আরও কাছে টানার চেষ্টা চালাবে বাইডেন প্রশাসন। এর ফলে জিএসপিসহ বাণিজ্যের বিভিন্ন খাতে আলোচনার সুযোগ বাড়বে। গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গাসহ অন্য ইস্যুগুলোও।
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার আসনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের প্রশাসন। পরিবর্তন আনছেন ট্রাম্পের অনেক নীতিতে। এরই মধ্যে যার আভাস মিলেছে। এ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে কিভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন এই প্রশাসন? সেই প্রশ্ন অনেকের কাছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পররাষ্ট্রনীতিতে বাইডেন প্রশাসন অনেক বেশি স্থিতিশীল ও নিশ্চিতভাবে কাজ করবে, যা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক। বিশেষ করে চীন-ভারতের উত্থানের প্রেক্ষাপটে ভূ-রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেবে নতুন মার্কিন সরকার।
ঢাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, একদিকে যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাংলাদেশে দীর্ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বাংলাদেশের যে ধরনের নেতৃত্ব, সেই নেতৃত্বের কারণে। অন্যদিকে চীন-ভারতের যে উত্থান মিয়ানমারের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণেও বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বঙ্গবসাগর অঞ্চলে এটি নজিরবিহীন গুরুত্ব পেয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে ঝুলে থাকা পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার- জিএসপি সুবিধা এখনই পাচ্ছে না বাংলাদেশ, অপেক্ষা করতে হবে আরও অনেকটা সময়। তবে ইতিবাচক দিক হলো দীর্ঘদিনের এই দাবি নিয়ে নতুন করে দরকষাকষির সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাইডেন প্রশাসনে যে ধরনের অর্থনৈতিক টিম ইতিমধ্যে এসেছে এবং বৈশ্বিকভাবে বাইডেন যেভাবে অ্যাংগেজমেন্টের কথা বলছেন এবং মাল্টি ল্যাকট্রোজিয়ামের কথা বলছেন- এগুলো আমার কাছে মনে হয় এই ইস্যুগুলোতে অন্তত একটি সুস্থ স্বাভাবিক কূটনৈতিক তৎপরতা, সেটি নিশ্চয়ই করা যাবে।
মানবাধিকার ইস্যুতে আগে থেকেই তৎপর বাইডেন ও কমলা হ্যারিস। তাই রোহিঙ্গা গণহত্যার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ সংকট নিরসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই অধ্যাপক আরও বলেন, কমলা হ্যারিস এবং বাইডেন উভয়ই কিন্তু এই ধরনের ইস্যুতে অন্তত তৎপর। বিশেষ করে গণহত্যা ইস্যুতে। ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও সক্রিয় হবে। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করার সম্ভাবনা আছে।
তবে সাফল্য পেতে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কৌশলী হয়ে কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন