ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রিয় নেতা হয়ে ওঠেন বাঙালির প্রিয় বন্ধু (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

১৯৬৯ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু অভিধায় ভূষিত হন সেই জনসমুদ্রে। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভের চাপে তিনি কারামুক্ত হন। গণঅভ্যুত্থানের প্রিয় নেতা হয়ে ওঠেন বাঙালির প্রিয় বন্ধু, বঙ্গবন্ধু।

১৯২০ সালে গোপলগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ক্ষণজন্মা পুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান। ক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন ইতিহাসের স্রষ্টা।

শেখ মুজিবুর রহমান তখনও প্রিয় নেতা মুজিব ভাই। তার ঘোষিত ৬ দফা তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের ভিত কাঁপিয়ে দেয়। দেশদ্রোহীর তকমা লাগিয়ে আগরতলা মামলা করে, গ্রেফতার হন মুজিব।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির সবচেয়ে বিশ্বস্ত নেতা, প্রকৃত নেতা, সংগ্রামী নেতা, নিঃস্বার্থ নেতা এবং উনি দীর্ঘদিন ধরে জান হাতে নিয়ে বাঙালির স্বার্থ আদায় করার জন্যে সর্বাত্মক লড়াই করেছেন। কোন জায়গায় কোনও আপোষ করেননি।

নেতাকে মুক্ত করতে উত্তাল সারাদেশ। জনতার সেই আন্দোলনে নতি স্বীকার করে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। ৬৯’র ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান বাঙালির প্রাণের নেতা শেখ মুজিব। পর দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্সে ১০ লাখ মানুষের বিশাল জনসভায় কৃতজ্ঞ জাতি প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধায় ভূষিত করে।

হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা করছিল। জনাব তোফায়েল আহমেদ, আমাদের প্রিয় তোফায়েল ভাই এই ঐতিহাসিক জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে সম্বোধন করেন এবং ঘোষণা দেন। আপোষহীন ভূমিকার জন্যে, তাঁর বিশ্বস্ততার জন্যে, বাঙালির প্রতি দরদ এবং আনুগত্য প্রকাশ করার জন্যে আমরা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভূষিত করি।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় আসে বাঙালির স্বাধীনতা, প্রাণের চেয়ে প্রিয় স্বদেশ এবং গর্বের পতাকা। 
ভিডিও :


এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি